পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আধ্যাত্মিক আলস্য। " ७०१ কত বৎসর অতীত হইয়াছে এবং এখনও হইতেছে,তথাপির্তাহারা অন্ধকারের পরপারে জ্যোতিৰ্ম্ময় ধাম দেখিতে পাইতেছেন না । উপনিষদকার ঋষি যে বলিয়াছেন ঃ—“বেদাহমেতং পুরুষং মহান্তং আদিত্যবৰ্ণং তমসঃ পরস্তাৎ”—“আমি অন্ধকারের পরপারে, এই আদিত্যাবৎ উজ্জ্বল মহান পুরুষকে দেখিয়াছি।” ইহা কি সামান্য সাধনের ফল ? “অন্ধকারের পরপারে,” এই কথাগুলির মধ্যে কি গভীর সংগ্রামের ইতিবৃত্ত লুকায়িত রহিয়াছে ! তুমি যদি অন্ধকার ঠেলিয়া অগ্রসর হইতে ভয় পাও, যদি সংশয় ও নিরাশার আন্দোলন সহিতে অসমর্থ হও, তবে সে জ্যোতিৰ্ম্ময় ধাম তোমার জন্য নহে। যাহাদের প্রাকতিতে আধ্যাত্মিক আলস্য প্ৰবল, ও শ্রম-বিমুখত স্বাভাবিক, তাহারা সর্বদাই ধৰ্ম্মের একটা সহজ পথ অন্বেষণ করিয়া থাকে। তাহদের মন সর্বদাই বলিতেছে, যদি এমন একটা “পথ পাওয়া যায়, এমন একটা মানুষ পাওয়া যায়, যাহা পাইলে আর এই সংশয় ও নিরাশার আন্দোলন সহ্যু করিতে হয় না, প্ৰবৃত্তিকুলের আঘাতে অস্থির হইতে হয় না, খনির অন্ধকার গর্ভে প্ৰবেশ করিয়া রত্ন অন্বেষণ করিতে হয় না, তাহা হইলে বঁচিয়া যাই। আমাদের সকলেরই মন কি সময়ে সময়ে দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া বলে না,-“আর এ সংগ্ৰাম ভাল লাগে না ; একবার উঠা আবার পড়া, এ যাতনা আর সহ হয় না ; যদি এমন একজন মানুষ পাই, র্যাহার চরণে আত্মসমর্পণ করিলে এই কঠোর সংগ্ৰাম হইতে জন্মের মত বঁচিয়া যাই, তাহা হইলে এখনি তাহার চরণে আত্মসমর্পণ করি।” ঈশ্বরকে SAR