পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V-69 N28Vo ভাব এক এক সময়ে এক এক জাতির মনে প্ৰবল ভাবে রাজত্ব করিয়াছে। সেই ভাব বিশেষের উত্তেজনাতে বহুসংখ্যক নরনারী উন্মাদ-রোগগ্ৰস্তের ন্যায় কাৰ্য্য করিয়াছে। কিন্তু সে ভাব অধিক কাল থাকে নাই। সাগরের তরঙ্গ যেমন বায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই সাগর-গর্ভে বিলীন হয়, তেমনি সে ভাব-তরঙ্গ সমাজ-গর্ভে পুনরায় বিলীন হইয়াছে; এবং কালক্রমে সমাজ মধ্যে আর সে ভাবের চিহ্র ও প্ৰাপ্ত হওয়া যায় নাই । এইরূপ যতই চিন্তা করা যাইবে ততই দেখা যাইবে যে, আমাদের ভাব সকলের ন্যায় ক্ষণিক অস্থায়ী ও পরিবর্তনশীল পদার্থ অল্পই আছে। ভাবের আর একটা স্বধৰ্ম্ম এই যে, ইহার হ্রাস বৃদ্ধি আছে। কেবল যে এক কালের এক প্রকার ভাব সময়ান্তরে পরিবৰ্ত্তিত হইয়া যায় তাহা নহে, একই ভাবের হ্রাস বৃদ্ধি দেখা যায়। ইহা আমরা প্রতিদিন প্রত্যেক গৃহে লক্ষ্য করিতেছি। অতপ্যবাৎসল্য ও দাম্পত্য প্ৰেম, এই দুইটার ন্যায় আমাদের সুপরিাচিত ভাব আর নাই । এই অপত্যবাৎসল্য ও দাম্পত্য প্ৰেমে আমরা দুই প্ৰকার অবস্থা দেখিতে পাই। কোনও সময়ে বা জননীর আচরণ দেখিয়া বোধ হইতেছে, তাহার অপত্যবাৎসল্য নামমাত্ৰ আছে। সন্তান কঁাদিতেছে, অঞ্চল ধরিয়া সঙ্গে সঙ্গে আসিতেছে, জননী গৃহকৰ্ম্মে ব্যস্ত থাকিয় তাহার প্রতি একবার ফিরিয়াও দেখিতেছেন না, বরং রোরুদ্যমান শিশুর হস্ত হইতে স্বীয় অঞ্চল আকর্ষণ পূর্বক কাৰ্য্যাস্তরে গমন করিতেছেন। দেখিয়া মনে হইতে পারে, কবিরা যে মাতৃস্নেহের বর্ণনা করিয়া