পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिशश् °°शू१ ।। रेS ইন্দ্ৰিয়দ্বয়বিশিষ্ট জীবের নিকটে ও কি তাহা ? কখনই নহে। সেইরূপ ইন্দ্ৰিয়ত্ৰয় বিশিষ্ট জীবের নিকটে যাহা, পঞ্চন্দ্ৰিয় বিশিষ্ট জীবের নিকট তাহা নহে। ইন্দ্ৰিয় সকলের সংখ্যা ও শক্তির তারতম্য অনুসারে জীবগণের শ্রেষ্ঠতারও তারতম্য হইয়া থাকে । একেন্দ্ৰিয়বিশিষ্ট জীব অপেক্ষা পঞ্চেন্দ্ৰিয় বিশিষ্ট জীব শ্রেষ্ঠ, কারণ, তাহার ইন্দ্ৰিয়সংখ্যা অধিক হওয়াতে তাহার জীবনের সুখভোগ করিবার শক্তি অধিক, জীবনরক্ষার উপায় অধিক ও কাৰ্য্যা করিবার শক্তি অধিক । এই বিচার যদি যুক্তিযুক্ত হয়, তাহা হইলে এই অভিনব বিস্ময়কর বৃত্তি,- বিবেক- মানবকে অতি শ্রেষ্ঠ পদবীতে উন্নীত করিতেছে। কেবল তাঁহা নহে, ইহা মানবের নিকট সেই পরম পুরুষের । স্বরূপের একদিক অভিব্যক্তি করিতেছে। আমরা পূর্বে জ্ঞান ও প্রীতির আলোচনা করিয়াছি । জ্ঞান তাহাকে নিত্য সত্য ও জ্ঞানস্বরূপ বলিয়া অভিব্যক্ত করে, প্রেম তাহাকে মঙ্গলস্বরূপ বলিয়া অভিব্যক্ত করে, এবং বিবেক তঁাহাকে ধৰ্ম্মাবহ ও পাপনুদ্দ বলিয়া অভিব্যক্তি করে। জ্ঞানে তিনি আদিকারণ পিতা, প্ৰেমে তিনি মঙ্গলময় বিধাতা, বিবেকে তিনি ধৰ্ম্মাবহ । বিবেক যেমন তাহাকে ধৰ্ম্মাবহ বলিয়া অভিবা ভূক্ত করিয়া থাকে, তেমনি ধৰ্ম্মজগৎকেও আমাদের নিকট অভিব্যক্ত করিয়া । থাকে। পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্ৰিয় যেমন আমাদের নিকটে রূপ-রস-গন্ধ, স্পর্শদি ধৰ্ম্মাক্রান্ত ভৌতিক জগৎকে ও তাহার নিয়ম সক. কে. ব্যক্ত করে, এই অদ্ভুত প্রকৃতিসম্পন্ন ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম-বুদ্ধিও সেইরূপ