পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vait- 98. প্রকার। “নেহাভিক্রম নাশোন্তি প্ৰত্যবায়ে ন বিদ্যতে”—“এ জ্ঞানে অভিক্রম বা নাশ নাই অথবা কোনও প্ৰত্যবায় নাই ।” তাহা তোমার নিজস্ব ধন, আপনার সম্পত্তি, সজন নির্জনের সঙ্গী। ব্ৰহ্ম বিষয়ে যদি এরূপ প্ৰত্যক্ষ জ্ঞান লাভ করা যায়, তাহা হইলে আর বাহিরের হর্ষ শোকের তরঙ্গের উপরে নিরন্তর আন্দোলিত হইতে হয় না । তখন ধৰ্ম্মভাব ধৰ্ম্মজীবন অপর দশজনের ধৰ্ম্মভাব ও ধৰ্ম্মজীবনের সংস্পর্শের উপরে সম্পূৰ্ণ নির্ভর করে না। তুমি যেখানেই থাক, তোমার অন্তরে এমন একটী কূপ রহিয়াছে, যাহা হইতে সুস্নিগ্ধ বারি সর্বদাই উঠিতেছে। আমরা যতদিন এইরূপ স্বাধীন ও অক্ষয় ধৰ্ম্মজীবন লাভ করিতে না পারি, ততদিন নিরাপদ নহি । ততদিন হর্ষ শোকের বাহিরের তরঙ্গের উপর আন্দোলিত হওয়া আমা“দের পক্ষে আনিবার্গ। সকল বিষয়েই মানুষ স্বাধীন বস্তু চায়। এমন বিদ্যা লইয়া কে সন্তুষ্ট হয় যে বিদ্যার জন্য সর্বদাই অপরের নিকট যাইতে হয় । যে বিদ্যা আত্মার জ্ঞানসম্পত্তিকে বৃদ্ধি করে, বুদ্ধি বৃত্তিকে মার্জিত করে, বিচার শক্তিকে বিকাশ করে ও কাৰ্য্যকুশলতাকে উৎপন্ন করে, তাহাই স্বাধীন বিদ্যা। নতুবা যে বিদ্যা দ্বারা মানবের বুদ্ধি-বৃত্তি মাৰ্জিত না হইয়া আরও জড়িত হয়, যদ্বারা বিচার শক্তি সবল না হইয়া বরং খঞ্জ হইয়া যায়, যদ্বারা সংসারের কোনও ইষ্ট সাধন করিতে পারা যায় না, যাহার প্রয়োগের জন্য সৰ্ব্বদাই গ্ৰন্থ বিশেষের বা মনুষ্য বিশেষের শরণাপন্ন হইতে হয়, তাহা স্বাধীন বিদ্যা নহে। যে ধন নিজে যথেচ্ছ ব্যবহার