পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাত্মি-যোগ । ( দ্বিতীয় উপদেশ ) “তন্দুৰ্দর্শং গৃঢ়মনুপ্রবিন্টং গুহাহিত্যং গহবরেষ্ঠং পুরাণং, অধ্যাত্মযোগাধিগমেন দেবং মন্ত্ব। ধীরোহিৰ্ষশোকেী জহাতি ।” উপনিষদঃঅর্থ-“সেই দুৰ্দর্শ পুরাতন পুরুষ হৃদয়-গুহাতে গুঢ় রূপে অনুপ্রবিষ্ট হইয়া রহিয়াছেন, ধীর ব্যক্তি অধ্যাত্মযোগ দ্বারা তাহাকে জানিয়া হর্ষ ও শোককে অতিক্ৰম করিয়া থাকেন ।” যে অধ্যাত্ম-যোগ দ্বারা ঈশ্বরকে জানিতে হইবে, সে অধ্যাত্মি-যোগ বস্তুটা কি ? প্ৰথম দেখা যাউক, আমরা যোগ বলিলে কি বুঝি। যোগের প্রথম অর্থ সন্নিকৰ্ষ বা সংস্পৰ্শ।। দুইটী বস্তুর মধ্যে যে বাবধান আছে, তাহ যখন অন্তৰ্হিত হইতে থাকে, যেখানে দশ হস্ত পরিমাণ ব্যবধান ছিল, সেখানে যখন পােচ হস্ত হইল, সেই পােচ হস্ত যখন আবার দুই হস্ত হইল, দুই হস্ত আৰ্দ্ধ হস্ত হইল, তখন আমরা বলি উক্ত উভয় পদার্থ পরস্পরের সন্নিকৃষ্ট হইতেছে । অবশেষে সে ব্যবধানও যখন একেবারে অন্তৰ্হিত হইয়া গেল, আমরা বলিলাম, তাহারা পরস্পরের সহিত সংযুক্ত হইল। বলা বাহুল্য যে জীবাত্মা ও পরমাত্মার যে যোগ তাহা এরূপ কোনও প্ৰকার দেশগত বা ব্যবধানগত যোগ নহে। যিনি দেশের প্রত্যেক অণুকে ও কালের প্রত্যেক মুহুৰ্ত্তকে আপনার সত্তার দ্বারা পূৰ্ণ করিয়া