পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Not थडौदन। . দেখ আত্মাতে আত্মাতে কি আশ্চৰ্য্য নৈকট্য ও আত্মীয়তা জন্মিয় থাকে। আত্মার এই নৈকট্য ও আত্মীয়তা এক আশ্চৰ্য্য ব্যাপার। আমাদিগের দেশে সন্ন্যাসী ও পরমহংসদিগের মধ্যে এক প্ৰথা প্ৰচলিত আছে যে, তঁহারা যখন সন্ন্যাসমন্ত্রে দীক্ষিত হন, তখন স্বীয় স্বীয় নাম পরিবৰ্ত্তিত করিয়া থাকেন। সন্ন্যাসীকে তাহার পুরাতন নাম ধাম বা জাতি বংশাদির পরিচয় জিজ্ঞাসা করা শিষ্ট-রীতিবিরুদ্ধ । সন্ন্যাসিগণ সেরূপ প্রশ্নের উত্তর দেন না ; পরস্তু তদ্বারা আপনাদিগকে অপমানিত মনে করিয়া থাকেন । এজন্য এদেশে কেহই সন্ন্যাসীদিগের পিতা মাতার নাম বা জাতি কুলের পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন না । যদি বা কেহ অজ্ঞতাবশতঃ এরূপ প্রশ্ন করেন, তাহা হইলে সন্ন্যাসিগণ পিতার নাম বলিবার সময় নিজ দীক্ষাগুরুর নাম এবং বংশের নাম করিবার সময় নিজ সম্প্রদায়ের নাম করিয়া থাকেন । ইহার কারণ এই পরমহংসগণ মনে করেন যে, দীক্ষা গ্ৰহণাস্তে র্তাহাদের পুৰ্বকার অবিদ্যাময় জীবনের মৃত্যু হয় এবং নুতন জ্ঞানময় জীবনের জন্ম হয়। এই ভাব এক কালে বা এক দেশে আবদ্ধ নহে। মহাত্মা শাক্যসিংহের জীবনের একটা ঘটনার কথা অনেকে শ্রবণ করিয়া থাকিবেন। তিনি নবালোক প্রাপ্ত হইয়। যখন স্বীয় নবধৰ্ম্ম প্রচারার্থ বহির্গত হইলেন, তখন এই নিয়ম করিলেন যে কোনও নগরের নিকটে গিয়া নগরসন্নিকটস্থ কোনও বনে বা উদ্যানে সশিষ্যে বাস করিতেন । নগরবাসিগণ দলে দলে তঁহার উপদেশ শ্রবণার্থ আসিত |