পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

५ादश् ९ ४ालूश३ । ز জ্ঞাতসারে অধৰ্ম্মকে আশ্রয় করিল, সে আপনার কাৰ্য্যের দ্বারা বলিল,-“কোথায় ঈশ্বর ! এ জগতে অধৰ্ম্ম ও জয়যুক্ত হইতে পারে । * অপরদিকে ঈশ্বর যদি সত্য হন, তবে ইহাও সত্য যে তিনি এই জগতের কর্তা ও প্রভু। সুতরাং ত্যাহার রাজে্যু তাহার ইচ্ছার জয় হইবে, এ কথা বলাও যাস্থা, আর ধৰ্ম্মের জয় হইবে বলাও তাহা । ইহা যিনি অনুভব করিতে না। পারিয়াছেন, তিনি অদ্যাপি বিশ্বাস-রাজ্য হইতে অনেক দূরে রহিয়াছেন । ভৌতিক জগতের নিয়ম সকল যেমন এই ভৌতিক দেহকে স্বীয় শাসনাধীনে লাইতে চায়, এবং সে শাসনাধীনে না গেলে যেমন এই দেহের স্বাস্থ্য ও শান্তি থাকে না, তেমনি ধৰ্ম্ম জগতের নিয়ম সকল ও আত্মাকে স্বীয় শাসনাধীনে লাইতে চায় । বিবেকের প্রকৃতি এই, ইহা প্ৰবল শক্তি সহকারে আদেশ করে এবং কোনও প্রকার ওজর শুনিতে চায় না । এই আদেশ বাণী গ্ৰাহ করাতেই আমাদের আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য ও শান্তি এবং অগ্ৰাহ করাতেই আমাদের আধ্যাত্মিক অসুস্থত । আমরা প্রতিদিন দেখিতে পাই যে এই ভৌতিক দেহকে ভৌতিক নিয়ম সকলের অধীন করিবার জন্য আমাদের সংযমের প্রয়োজন হয়, আমাদের প্রবৃত্তিকে রোধ করিতে হয় ; আমর! সকল কালে ও সর্বাবস্থাতে সচ্ছন্দে বিহার করিতে পারি না, ভৌতিক নিয়ম সকলকে মানিয়া চলিতে হয় ; সেইরূপ আপনা দিগকে ধৰ্ম্ম নিয়মের অনুগত করিবার জন্যও সংযমের প্রয়োজন। প্ৰবৃত্তি সকলকে রোধ করিয়া জীবনকে ধৰ্ম্ম-নিয়মের অনুগত করাই প্ৰকৃত্ব মনুষ্যত্ব । যতই আমরা প্ৰবৃত্তি সকলকে সংযত