পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

धिदौब 5यूद्धांछठ९। V3V) বলিয়া না দেখা যায়, তাহা হইলে তাহার সত্তা ও স্বরূপ সম্বন্ধে যাহা কিছু বলি বা যাহা কিছু শুনি সকলি বৃথা বোধ হয়। ফলতঃ তাহার সহিত এইরূপ নৈকট্য স্থাপনের উদ্দেশেই দর্শনাদি রচনা ও শাস্ত্ৰাদির বিচার ; যদি সেই ফলই না। ফলে, তবে দর্শনের বিচার ও শাস্ত্রের আলোচনা সকলি বৃথা। একজন যদি সমুদায় রাগ রাগিণীর মাত্রা ও স্বরলিপি প্রভৃতি জানে কিন্তু নিজে কণ্ঠে একটী রাগ বা রাগিণী গাইতে না পারে, তবে তাহার স্বরলিপি জানা যেমন বৃথা, তেমনি ঈশ্বরের সত্তা ও স্বরূপাদি বিষয়ে জ্ঞান থাকিয়াও যদি তাহার নৈকট্য অনুভব না করা যায়, যদি সেই নৈকট্যজ্ঞান আমাদের চিন্তা ও কাৰ্য্যে প্ৰবেশ না করে, তবে সে জ্ঞানও বৃথা ? অথচ ইহা কি লজার সহিত স্বীকার করিতে হয় না যে আমরা অনেক সময়েই র্তাহার সান্নিধ্য বিস্মৃতি হইয়া থাকি । দ্বিতীয় প্রশ্ন আমরা কি সৃষ্টির রচনা-প্ৰণালীতে, মানবের ইতিবৃত্তে ও নিজ নিজ জীবনের ঘটনাবলীর মধ্যে র্তাহার হস্ত দেখিতে পাই ? বৰ্ত্তমান সময়ে নানা কারণে র্তাহার বিধাতৃত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা দুষ্কর হইয়া উঠিতেছে। প্রথমতঃ — অদ্বৈতভাবাত্মক জ্ঞানের বহুল প্রচার হওয়াতে তঁহাকে জ্ঞানক্রিয়াসম্পন্ন পুরুষরূপে ধারণা করার ভাব মান হইয়া যাইতেছে ; দ্বিতীয়তঃ সৃষ্টিরাজ্যে বিবৰ্ত্তন-প্রক্রিয়ার মত প্রতিষ্ঠিত হওয়াতে র্তাহাকে বিধাতারূপে দেখা কঠিন হইয়া পড়িতেছে। অধচ তাহার মঙ্গলভােবই প্রেমের উপজীব্য