পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

We বস্তু। তঁহাকে মঙ্গলময় বিধাতারূপে প্ৰতীতি না করিলে প্ৰেম তাঁহাকে আশ্রয় করিতে পারে না। তৃতীয় প্রশ্ন আমরা কি তাঁহার নিয়ন্তত্বে বিশ্বাস করি ? আমরা কি সত্য সত্যই তঁহাকে ধৰ্ম্মাবহ ও পাপনুদরাপে দর্শন করিয়া থাকি ? অর্থাৎ আমরা কি মনে করি যে, দ্বিতল বা ত্রিতল প্রাসাদ হইতে লম্ফ দিলে যেমন ভূপৃষ্ঠে পতিত হওয়া অনিবাৰ্য্য, অগ্নি-শিখা প্ৰজ্বলিত হইলে যেমন উৰ্দ্ধমুখে উখিত হওয়া অনিবাৰ্য্য, জলরাশি ঢালিয়া দিলে নিম্নাভিমুখে প্ৰবাহিত হওয়া যেমন অনিবাৰ্য্য, তেমনি এ জগতে সত্যের ও ধৰ্ম্মের জয় হওয়া অনিবাৰ্য্য। ধৰ্ম্মে এরূপ সুদৃঢ় প্রতীতি স্থাপন করিতে না পারিলে তঁহাকে নিয়ন্ত বলিয়া স্বীকার করা হয় না । জগতে অনেক প্রকার নাস্তিক আছে, কিন্তু সর্বশ্রেষ্ঠ নাস্তিক সেই, যে অসত্য, অধৰ্ম্ম বা অসাধুতচরণ করিয়া জয়লাভ করিবার আশা করে ; কারণ সে আপনার ব্যবহার দ্বারা বলে, “ঈশ্বর বলিয়া কোথাও কিছু নাই, এ পৃথিবীতে জয় পরাজয় কেবল মানুষের চাতুরীর খেলা মাত্র।” ঈশ্বর নিকটে, অন্তরে বাহিরে, তিনি মঙ্গলময় বিধাতা ও তিনি ধৰ্ম্মেরনিয়ন্ত, এই তিনটী বিশ্বাসের সুদৃঢ় ভিত্তি না পাইলে ঈশ্বরের সহিত অধ্যাত্মযোগের প্রথম সোপানে আরোহণ করা যায় না ; ধৰ্ম্মজীবনের ভিত্তিই স্থাপিত হয় না। আমরা দেখিতে পাই, আমাদের জীবনের যত কিছু দুৰ্গতি তাহার মুলে এই তিনটীর অভাব ; আমরা তঁহার সান্নিধ্য অনুভব করি না, তাহার বিধাতৃত্বে বিশ্বাস স্থাপন করিতে পারি না,