পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মের বহিঃপুর ও অন্তঃপুর। Θηνο না। কিন্তু যে ব্যক্তি সাজঘরে বসিয়া ঐ সকল নাটকে স্বীয় স্বীয় পরিচ্ছদ পরাইয়া দিতেছে, সে ব্যক্তি উহাদের প্রত্যেকের নাম, ধাম, ও প্ৰত্যেককে সজ্জিত করিবার প্রণালী প্ৰভূতি সমুদায় জানে। এই ব্ৰহ্মাণ্ডে কি অনেক পরিমাণে এই প্রকার ব্যাপার। চলিতেছে না ? মনে কর একজন বৰ্ণজ্ঞান-বিহীন সরলমতি কৃষক একদিন অপরাহ্নে সমুদিত ইন্দ্ৰধনুর প্রতি দৃষ্টিপাত করিতেছে। তাহার সমুজ্জ্বল ও বিচিত্ৰ বৰ্ণ-বিন্যাস দেখিয়া সে চমৎকৃত হইয়া যাইতেছে। তাহার বোধ হইতেছে যে ঐ ধনুর এক কোটি যেন কিয়দপুরে ভূমিকে স্পর্শ করিয়া রহিয়াছে। সে সাজঘরের সংবাদ কিছু জানে না। কিরূপে যে মেঘমুক্ত জলকণার মধ্যে সূৰ্য্যালোকে প্রতিফলিত হইয়া ঐ রূপ বিচিত্র বর্ণ উৎপন্ন করিয়াছে তাহা সে অবগত নহে। তাহার বিস্ময়াবিষ্ট দৃষ্টির পক্ষে উহা সত্য ধনু বলিয়াই বোধ হইতেছে। কতিপয় বিজ্ঞানবিৎ ব্যক্তি যেন প্ৰকৃতির সাজঘরে প্রবেশাধিকার লাভ করিয়াছেন । তাহারা সাজঘরে প্রবেশ করিয়া দেখিয়াছেন ঐ ধনু কি প্রকারে উৎপন্ন হয়, উহার গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে কি কি আছে, সুতরাং তঁাহারা অন্তঃপুরের সংবাদ কিয়ৎ পরিমাণে দিতে সমর্থ। এক দিকে দেখিতে গেলে একথা বলা অতীব খৃষ্টতার কাৰ্য্য যে কতিপয় বিজ্ঞানবিৎ ব্যক্তি প্ৰকৃতির সাজঘরে বা অন্তঃপুরে প্রবিষ্ট হইয়াছেন। কারণ জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানবের অজ্ঞতার জ্ঞান বরং দিন দিন অধিক পরিমাণে ঘনীভূত হইতেছে। আলোক যতই উজ্জ্বল হয় কৃষ্ণবৰ্ণ