পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V) ! ধৰ্ম্মজীবন । করিতে সমর্থ হই, ততই সেই পরমপুরুষের স্বরূপের অভিমুখে অগ্রসর হইয়া থাকি। তিনি যেমন এই জগতের শক্তিপুঞ্জের ক্রীড়ার মধ্যে থাকিয়াও কাহারও অধীন নহেন, তেমনি জিতাত্মা ব্যক্তিরাও প্রবৃত্তিকুলের কাৰ্য্যের মধ্যে থাকিয়াও কাহার ও অধীন নহেন । এই স্বাধীনতাই মানবের প্রকৃত স্বাধীনতা । । যেমন ভৌতিক নিয়ম সকলের অনুগত হওয়াতেই ভৌতিক দেহের স্বাস্থ্য, তেমনি ধৰ্ম্ম-নিয়মের আনুগত্যেই আত্মার স্বাস্থ্য । দেহের স্বাস্থ্য সচরাচর তিন প্রকার চিহ্র দ্বারা, সুচিত হইয়া থাকে ৷ প্ৰণাম রোগে যাতনা বোধ ; দ্বিতীয়, আহারাদিতে তৃপ্তিবোধ ; তৃতীয়, অঙ্গপ্ৰত্যঙ্গে, কাৰ্য্য করিবার শক্তি-বোধ । যে দেহ সুস্থ, তাহ রোগ যাতনা বোধ করিতে পারে । দেহের অবস্থা যখন এ প্রকার হয়, যে রোগ যাতনা বোধ করিবার শক্তি আর থাকে না, তখন চিকিৎসকগণ হতাশ হইয়া থাকেন, কারণ তদ্দ্বারা এই প্ৰমাণ প্ৰাপ্ত হওয়া যায়, যে উক্ত দেহের জীবনীশক্তি একেবারে বিনষ্ট হইয়াছে। সেইরূপ সুস্থ দেহ মাত্ৰেই নিয়মিত অন্নপানাদি গ্রহণে তৃপ্তি-বোধ করিয়া থাকে । যখন আর অন্নপানে রুচি থাকে না, তখন চিকিৎসকেরা অনুমান করেন, যে সেই দেহের মধ্যে রোগের বীজ নিহিত হইয়াছে । তৃতীয়তঃ সুস্থ ও সবল দেহের প্রকৃতিই , এই যে তাহা সৰ্ব্বদা কাৰ্য্য করিতে চায়, কাৰ্য্যে আনন্দ পায় এবং অঙ্গপ্ৰত্যঙ্গে কাৰ্য্যের শক্তি থাকে। আত্মার স্বাস্থ্যেরও এই ত্ৰিবিধ লক্ষণ । পাপে, অনুতাপের তীব্ৰতা, পুণে, আত্ম-প্ৰসাঢ়ের উচ্চতা,