পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মের বহিঃপুর ও অন্তঃপুর। xCዓ ዓ অলৌকিক চমৎকারিত্ব রসের সৃষ্টি করিতেছে। সংগীত তরঙ্গের কম্পনের সঙ্গে সঙ্গে তোমার হািদয়ের ভাব রাশিও যেন আন্দোলিত হইতেছে। তোমার সর্বেন্দ্ৰিয় যেন এক বিচিত্র সুধারসে আপ্নত হইতেছে। এইমাত্ৰ তুমি অনুভব করিতেছ, আর অধিক কিছু জানি না। কিন্তু যে সংগীত বিদ্যাভিজ্ঞ গায় ১ ও বাদকগণ এই অপূর্ব রসের আবির্ভাব করিতেছেন র্তাহারা ইহার অতিরিক্ত আরও কিছু জানেন ; তাহারা সেই স্বর-লহরীর প্রত্যেক কম্পনের নিয়ম ও প্ৰণালী অবগত আছেন ; অতএব তাহারা সেই সংগীতের ভিতর পিঠ 〔际f{r可豆可1 এইরূপ সকল বিষয়েই। এইরূপ ধৰ্ম্মেরও একটা বহিঃপুর ও একটা অস্তঃপুর আছে। বহিঃপ্রাঙ্গন হইতে দেখ ধৰ্ম্ম কতকগুলি অর্থশূন্য ক্রিয়ামাত্র। আমরা অনেক সময় নিকৃষ্ট প্ৰাণীদিগের গতিবিধি লক্ষ্য করিয়া থাকি। আমরা তাহদের ভাষা বুঝি না বা মনের ভাব বিষয়ে অভিজ্ঞ নাহি। কেবল তাহদের কার্স্যকলাপ দেখিয়া তাহদের মানসিক অভাব বা আকাঙক্ষার অনুমান করিয়া থাকি । যখন দেখি কোনও পক্ষী বাসা বাধিবার জন্য কুটী বাহিতেছে, তখন বলি ডিম পাড়িবার সময় হইয়াছে। তাহার বাসা বাধাটা একটা স্বাভাবিক অভাবের জ্ঞাপক। সেইরূপ মনে কর তুমি কোনও অপরলোকবাসী উন্নত জীব, তুমি দূর হইতে মানবের কাৰ্য্য পৰ্যবেক্ষণ করিতেছ। তুমি দেখিতেছ। কতকগুলি জাহাজ নদীতীরে আসিয়াছে, আর দলে দলে পিপীলিকা-শ্রেণীর ন্যায়