পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মাধ্যক্ষঃ সৰ্বভুতাধিবাসঃ। উপনিষদে ব্ৰহ্মের যত প্রকার স্বরূপ নিৰ্ণয় করা হইয়াছে, তন্মধ্যে একটা এই ;- “কৰ্ম্মাধ্যক্ষঃ সৰ্ব্বভুতাধিবাসঃ” অর্থাৎ তিনি সকল ভুতে বাস করিতেছেন ; এবং সকল ক্রিয়ার অধ্যক্ষরীপে রহিয়াছেন । তিনি যে জড়াজগতের প্রত্যেক পদার্থে বাস করিতেছেন, এবং নিজ ইচ্ছার দ্বারা জড়ের প্রত্যেক গতি ও ক্রিয়াকে নিয়মিত করিতেছেন, ইহা স্বীকার করা কঠিন নহে। ইহা বিজ্ঞান-সন্মত কথা । কারণ জড়কে বিশ্লেষণ করিলে কতকগুলি শক্তিতে উপনীত হই ; সেই শক্তি সকলকে বিশ্লেষণ করিলে এক অনন্ত, অনাদি ও অবিনাশী শক্তিতে উপনীত হই ; সে শক্তিকে আবার বিশ্লেষণ করিতে গেলে তাহাকে আত্ম-শক্তি রূপেই দেখিতে পাই । এই বিশ্লেষণ ক্রিয়ার সাহায্যে প্ৰাচীন কালের বৈদান্তিকদিগের ন্যায় বর্তমান সময়েও অনেক পণ্ডিত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন, যে সেই অনন্ত লীলাময়ী পরম-সত্তা ভিন্ন জড়ের স্বতন্ত্র সত্তা নাই । যাহারা জড়বাদী র্তাহাদিগকেও স্বীকার করিতে হইতেছে যে জড় মূলে কতকগুলি “শক্তির খেলা মাত্র । তৎপরে বিজ্ঞান প্ৰমাণ করিয়াছে, যে আপাততঃ যে সকল ক্রিয়া নানা শক্তির খেলা বোধ হইতেছে, তাহা মূলে একমাত্ৰ শক্তির রূপান্তর মাত্র। এই শক্তিই বিবিধরপে বিবৰ্ত্তিত হইতেছে। শক্তি যাহা তাহা এক ও