পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মাধ্যক্ষঃ সৰ্ব্বভুতাধিবাসঃ। ve মানবাত্মার কার্স্যেরাও তিনি অধ্যক্ষ কিনা ? এই প্রশ্নের বিচার করিতে গেলেই কিঞ্চিৎ বাধা উপস্থিত হয়। জড়াজগতে যেমন সহজে বিশ্লেষণ ক্রিয়ার দ্বারা মূল সিদ্ধান্তে উপনীত হই, আত্মা সম্বন্ধে সেরূপ সহজ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না । কারণ যে আত্মবোধ বা চিদালোক দ্বারা আমাদের আত্ম-জ্ঞান ও জড়ের জ্ঞান সম্ভব হয়, সেই আত্মবোধ বা চিদালোক আমাদের নিকটে কতকগুলি অদ্ভূত তত্ত্বকে প্ৰকাশ করে। প্রথম অদ্ভুত তত্ত্ব নিজের পার্থক্য জ্ঞান। আমি এই ব্ৰহ্মাণ্ডে এক স্বতন্ত্র ব্যক্তি, আমি এই প্ৰত্যক্ষ পরিদৃশ্যমান জগৎ হইতে বিভিন্ন, আমি অপর আত্মা হইতে বিভিন্ন, এবং আমি সকল পরিবর্তনের মধ্যে অপরিবর্তিত। এই জ্ঞান আমাদের স্বভাব-নিহিত ; ইহাকে আমরা মন হইতে উৎপাটিত করিতে পারি না । ইহার অতিক্ৰম করিতে পারি না । ইহাকে এই কারণে অদ্ভুত বলা গিয়াছে, যে দেহের প্ৰত্যেক পরমাণুর ন্যায় মনের প্রত্যেক চিন্তা ও ভাব -প্রতি মুহুর্তে পরিবৰ্ত্তিত হইয়া যাইতেছে, অথচ এই স্বাতন্ত্রা জ্ঞান ও একত্ববুদ্ধি বিলুপ্ত হইতেছে না। দ্বিতীয় তত্ত্ব নিজের আত্মার অপূর্ণত জ্ঞান। ইহা ও স্বাভাবিক। আমরা নিয়ত অনুভব করিতেছি যে আমাদের জ্ঞান অপূৰ্ণ অৰ্থাৎ তাহা সত্যের সমব্যাপী নহে ; আমাদের শক্তি অপূৰ্ণ অর্থাৎ তাহা ইচ্ছার সমব্যাপী নহে। এই অপূর্ণত জ্ঞান আমরা কোনও -প্রকারেই পরিহার করিতে পারিতেছি না। তৃতীয়তঃ আমাদের আত্মা সম্বন্ধে আর একটী অদ্ভুত তত্ত্ব এই, আমাদের