পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Bo ধৰ্ম্মজীবন। করাও সহজ নহে। এই সম্বন্ধ যেন বক্তা ও বাক্যের সম্বন্ধের ন্যায়। বাক্য বক্তার ইচ্ছা হইতেই উৎপন্ন ; বক্তার ইচ্ছাতেই স্থিত ; তাহা বক্তাকে ছাড়িয়া থাকে না ; অথচ বাক্য বক্তা নহে, বক্তার ক্ষুদ্রতম প্ৰকাশ মাত্র ; সেইরূপ এই জগৎ ও এই আত্মা সেই বিশ্বাত্মারই প্ৰকাশ মাত্র, তাহা হইতেই উৎপন্ন এবং তঁহাতেই স্থিত, অথচ ইহা তিনি নহেন, তাহার ক্ষুদ্রতম অংশমাত্র। ইহা বলিলেও সে সম্বন্ধের কিছুই প্ৰকাশ कद्मा झुछ्रेव्ल मा । যাহা হউক, আমি আপনাকে তাহা হইতে স্বতন্ত্র বলিয়া জানিতেছি বলিয়াই তিনি আমার উপাস্য হইয়াছেন এবং আমি তাহার উপাসক হইয়াছি ; নতুবা উপাস্য উপাসক সম্বন্ধও থাকে না । কিন্তু স্বাতন্ত্রা জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গেই এক গুরুতর প্রশ্ন উদিত হইতেছে । যদি এই দেহ-মন্দিরে জীব ও ব্ৰহ্ম উভয়েই বাস করিতেছেন, তবে অধ্যক্ষতা কাহার ? কোন কাৰ্য্য আমার আর কোন কাৰ্য্য তঁহার ? দুই জনেই ইচ্ছাময় পুরুষ এবং দুই জনেই স্বাধীন, তবে একের প্রতি অপরের অধ্যক্ষতা কোন সূত্রে ও কোন বিষয়ে ? উভয়ের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখিয়া। একের প্রতি অপরের অধ্যক্ষতা কিরূপে সম্ভব হইতে পারে ? এই প্রশ্নের উত্তরে একমাত্র বলা যাইতে পারে যে, তিনি দুই প্রকারে আমাদের কৰ্ম্মের উপরে অধ্যক্ষতা করিতেছেন। প্রথমতঃ—এরূপ অনেক কাৰ্য্য আমাদের দ্বারা অনুষ্ঠিত হইতেছে যাহার উপরে আমাদের হাত নাই, অথবা হাত থাকিলেও আমরা প্ৰবৃত্তির এতদূর বশবৰ্ত্তী হইয়া কাৰ্য্য করিতেছি যে,