পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিবারে ধৰ্ম্মসাধন । । প্ৰথম উপদেশ। “স সেতু বিধূতিরেষাং লোকানামসম্ভেদায়।” উপনিষদে এই জগতের সহিত ঈশ্বরের সম্বন্ধবাচক যত । বচন আছে, তন্মধ্যে একটী উৎকৃষ্ট বচন এই—“স সেতু বিধুতিরেষাং লোকনামসন্তেদায়।” অৰ্থাৎ তিনিই সেতু স্বরূপ : হইয়া এই সকল লোককে ধারণ করিয়া আছেন, ইহাদিগকে । বিনন্ট হইতে দিতেছেন না। কৃষকগণ স্বীয় স্বীয় ক্ষেত্রে জল আবদ্ধ করিয়া রাখিবার জন্য মুন্নিৰ্ম্মিত সেতু দ্বারা ক্ষেত্র সকলকে আবেষ্টত করিয়া রাখে, ইহা সকলেই দেখিয়া থাকিবেন। প্রশ্ন এই, কৃষকের সেতু দ্বারা জল যেমন ক্ষেত্রে বিধৃত হইয়া থাকে, তেমনি কোন শক্তির দ্বারা লোক সকল স্বীয় স্বীয় স্থানে বিধৃত হইয়া রহিয়াছে, উৎসন্নদশা প্ৰাপ্ত হইতে পারিতেছে না ? সূৰ্য চন্দ্ৰাদি গগনবিহাৰী জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর সম্বন্ধে আমরা এই থা বলি যে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে তাহদের পরমাণু সকল বিধৃত হইয়া রহিয়াছে, তাহারা পরস্পর হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া উৎসন্নদশা প্ৰাপ্ত হইতে পারিতেছে না। যে অন্তনিহিত শক্তির প্রভাবে জড়ীয় পরমাণু সকলের মধ্যে ঘননিবিষ্টতা রক্ষিত হইতেছে, তাহার প্রকৃতি কি বিচিত্র, তাহা আলোচনা করিবার সময় ও স্থান এ নহে । যে শক্তির প্রভাবে মানবসমাজ দৃঢ়-সম্বন্ধ আছে তাঁহারই কিঞ্চিৎ আলোচনা করা আদ্যকার উদ্দেশ্য ।