পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

şV ধৰ্ম্মজীবন । , অদ্যাপিও করিতেছে তাহা স্মরণ করিলে মনুষ্য বলিয়া পরিচয় দিতে কাহার না মস্তক লজ্জাতে অবনত হয় ? সম্প্রতি তুরস্কদেশীয় মুসলমানগণ আৰ্ম্মেনিয়াবাসী গ্ৰীষ্টীয়দিগের প্রতি যে ভীষণ হত্যাকাণ্ড করিয়াছে, তাহার বিবরণ পাঠ করিয়া কাহার না শরীরের শোণিত উষ্ণ হয় ? দেখিলে বোধ হয়, মানবের অন্তরে এরূপ শ্বাপদ আছে, যাহাকে উত্তমরূপে শৃঙ্খলিত না রাখিলে মহা অনর্থ উৎপাদনা করিতে পারে ? বল দেখি মানপের এই শ্বাপদ প্ৰবৃত্তিকে কে শৃঙ্খলিত রাখিয়াছে । উপনিষদের প্রদত্ত উত্তর এই—“ঈশ্বর সেতুস্বরূপ হইয়া ইহাদিগকে শৃঙ্খলিত করিয়া রাখিতেছেন।” ইহা আপাততঃ অনেকের পক্ষে কবিত্ব বা কিঞ্চিৎ অত্যুক্তি বলিয়া প্রতীয়মান হইতে পারে। কিন্তু ইহা কবিত্ব বা অত্যুক্তি নহে। ইহার অর্থ এই, যে সকল গুণের প্রভাবে মানবসমাজ সুরক্ষিত হইতেছে, তাহা ঈশ্বরেরই স্বরূপ-নিহিত । সে গুণ গুলি কি ? উত্তর-সত্য, ন্যায়, প্ৰেম, পবিত্ৰতা । তিনি সত্যস্বরূপ, ন্যায়স্বরূপ, প্রেমস্বরূপ ও পবিত্ৰীস্বরূপ । ইহার বিরোধী যাহা অর্থাৎ অসত্য, অন্যায়, অপ্রেম, ও অপবিত্রতা, তাহদেরই গতি সমাজ ভগ্ন করিবার দিকে ; সত্য, ন্যায়, প্রেম ও পবিত্ৰতার গতি সমাজস্থিতি রক্ষার দিকে। মানব হৃদয়ে সত্য, ন্যায় প্রেম ও পবিত্ৰতা আছে বলিয়াই, অর্থাৎ মানবাত্মাতে ঈশ্বরাংশ বিদ্যমান বলিয়াই লোকস্থিতি রক্ষিত হইতেছে। অতএব এ সত্য সকলেরই অনুভব করা। কৰ্ত্তব্য যে ঈশ্বর স্বয়ং আপনাতে মানবসমাজকে প্রতিষ্ঠিত রাখিয়াছেন, এবং