পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bቻ” श्ब्ीखौंदन । সেনাপতি বীর হইতে পারে !! বরং নিৰ্জন বনবাসী সাধকের অপেক্ষা, দাবাখেলার সাধকের অবস্থা ভাল । কারণ সে কল্পিত সংগ্ৰামও করে ; বনবাসী সাধকের যে তাহা ও নাই। শালগ্ৰাম শিলা কেমন সুগোল ও সুন্দর ! দেখিতে চক্ষের | কেমন স্পািহণীয় ! যদি কোনও কারিকরকে পাষাণখণ্ড খুন্দি । ঐরূপ সুন্দর বৃত্তাকার করিতে হয়, তবে তাহ কত শ্রমের কাৰ্য্য ! কিন্তু ঐ শালগ্ৰাম শিলার অনুরূপ সহস্ৰ সহস্ৰ বৃত্তাকার পাষাণ খণ্ড গিরিপাদবাহিনী নিঝরিণীর জলে পাওয়া যায়। কোনও মানবের শ্রম তাহ উৎপন্ন করে না । গিরিপৃষ্ঠবিচুত পাষাণখণ্ড নদী-প্রবাহ দ্বারা নীত হইয়া পরস্পরের সংঘর্ষণে ঐ প্রকার বৃত্তাকার ও সুন্দর হইয়া থাকে । সেইরূপ তুমি আমি যে জনসমাজে প্ৰতিনিয়ত বিচরণ করিতেছি, ইহা কি অনুভব কর, যে তুমি আমিও পরস্পরের সহিত সংঘর্ষণ দ্বারা ঐরূপ বৃত্তাকার হইতেছি, অর্থাৎ শিক্ষিত ও উন্নত হইতেছি ? মানবাত্মার শিক্ষার জন্যই মানব সমাজের সৃষ্টি । ইহা বিজ্ঞানের প্রমাণিত সত্য। আধুনিক বিজ্ঞান এক নূতন তত্ত্বের আবিষ্কার করিয়াছেন, তাহার নাম জীবনসংগ্ৰাম । এই জীবন সংগ্রামেব অর্থ এই,-কি উদ্ভিদজগতে, কি প্ৰ শিরাজ্যে, কি মানব-সমাজে সর্বত্রই নিরন্তর সংগ্রাম, অর্থাৎ জীবে জীবে, সংঘর্ষণ চলিয়াছে, সেই সংগ্রামে যে সুগুণসম্পন্ন সেই বাচিয়া যায়, যে গুণহীন সে নিধন প্ৰাপ্ত হয়। প্ৰকৃতির কার্স্য প্ৰণালী দেখিলে এইরূপ বোধ হয়, যেমন কোনও শিকারী দুইটী উডডীয়মান পক্ষীকে মারিবার জন্য নিজ বন্দুকে বিংশতিটা