পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ধৰ্ম্মজীবন । অভ্যাস হইয়া যায়। সন্তানদিগের মুখ চাহিয়া পিতামাতাকে সর্বদাই স্ট্রীয় স্বীয় প্ৰবৃত্তিকে সংযত করিতে হয় । তাহারা যথেচ্ছ বিহার করিতে পারেন না ; যথেচ্ছ সঞ্চারণা করিতে পারেন না ; যথেচ্ছ নিজ সুখবাসনাকে চরিতার্থ করিতে পারেন না ; আপনাদের প্রবৃত্তি, রুচি, বাসনা প্ৰভূতিকে সংযত করিয়া চলিতে হয়। ইহাতে কি তঁহাদের চরিত্রকে দৃঢ়, উন্নত, ও আধ্যাত্মিক-ভাব-সম্পন্ন করে না ? চতুর্থতঃ দায়িত্ববোধ ; পরিবারের ন্যায় দায়িত্ব-বোধ শিক্ষার উপযুক্ত স্থান কোথায় আছে ? এই পারিবারিক ব্যবস্থার বিষয়ে চিন্তা কর, গ শিশুটি আপনার মনে একাকী খেলা করিয়া বেড়াইতেছে, বা পার্শ্বে শয়ন করিয়া অকাতরে নিদ্র। যাইতেছে, আর পিতা । মাতা একাগ্ৰচিত্তে তাহার রক্ষা শিক্ষা, এবং শারীরিক ও দ্রা মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে প্রবল চিন্তাতে নিমগ্ন রহিয়াছেন। ; এ কেমন দৃশ্য ! যে নিজের জন্য চিন্তা করিতে জানে না, ঈশ্বর তাহার জন্য চিন্তা করিবার লোক নিযুক্ত রাখিয়াছেন, । এ কেমন বন্দোবস্ত ! ইহাকেও যদি বিধাতার লীলা না বল। তবে বিধাতার লীলা কোথায় দেখিবে ? ইহা দেখিয়াই প্ৰাচীনকালের সাধুগণ পিতা মাতাকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি বলিয়াছিলেন ; তাহা কি অত্যুক্তি ? যিনি জনক জননীকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি বলিয়া দেখিতে সমৰ্থনহেন তাহার বিশ্বাস-চক্ষু পাইতে এবং বিধাতার বিধাতৃত্বের মৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিতে এখনও বিলম্ব আছে। দায়িত্ববোধের ন্যায় মানব চরিত্রকে গঠন করিবার উপাদান আতি অল্পই আছে। সুতরাং পরিবার ও পারিবারিক জীব