পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিবারে ধৰ্ম্মসাধন । R সমগ্ৰ সমাজকে সুখী ও উন্নত করিবার প্রয়াস পাইতে লাগিল । ইহাই খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের স্থায়িত্বের প্রধান কারণ। ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের ইতিবৃত্তে আমরা দুইটী কাল দেখিতে পাই। এক কাল এমন ছিল যখন ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম কতিপয় শিক্ষিত পুরুষের মধ্যে বদ্ধ ছিল । অল্পসংখ্যক শিক্ষিত ভদ্রলোক সপ্তাহান্তে উপাসনা স্থানে সমবেত হইতেন, এবং নিরাকার পরব্রহ্মের উপাসনাতে ক্ষণকাল যাপন করিয়া তৃপ্তি লাভ করিতেন। এ বস্তু যে গৃহে লইয়া যাইতে হইবে, এই অমৃত যে পরিবার মধ্যে পরিবেশন করিতে হইবে, এই নবালোকে যে তঁহদের বাসা-ভবন উজ্জ্বল করিতে হইবে, তাহা তাহদের বুদ্ধিতে যোগাইত না । এই অবস্থাতে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম জলের উপরিস্থিত ক্ষুদ্র মাখন-খণ্ডের ন্যায় এক এক পরিবারের উপর ভাসিতেছিল, যেন একটী পারাবতের পালকের দ্বারা সরাইয়া ফেলা যাইত ! গৃহস্বামীর মৃত্যু হইলে সে পরিবার মধ্যে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের নাম গন্ধ থাকিত না । ক্ৰমে সে কাল চলিয়া গেল। প্ৰধানতঃ খ্যাতনামা কেশবচন্দ্ৰ সেনের উদ্যোগে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম পারিবারিক জীবনে প্রবিষ্ট হইল। তদবধি ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম আর এক আকার ধারণ করিল, এবং ইহার স্থায়িত্বেরও সূত্রপাত হইল। এখন এ কথা সাহসের সহিত বলা যাইতে পারে, যে প্রচারের চেষ্টা একেবারে রহিত হইলেও ভারতবর্ষ হইতে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের আর উচ্ছেদ নাই। দৃষ্টান্তস্বরূপ অগ্ন্যুপাসক পারসীকদিগের উল্লেখ করা যাইতে পারে। সমগ্ৰ ভারতের প্রজাসংখ্যার সহিত তুলনাতে এই পারসীকগণ