পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিবারে ধৰ্ম্মসাধন । Ved করিয়া নিরামিষভোজী হইয়াছেন । এই নিরামিষভোজী সভার সভ্যগণ উপদেশ দ্বারা নিরামিষ ভোজনের উৎকৃষ্টতা প্ৰতিপন্ন করিতে ক্ৰটী করিতেছেন না । ইহাদের সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকা আছে, তদ্ভিন্ন মৌখিক উপদেশ ও পুস্তক পুস্তিকাদি দ্বারাও প্রচার হইতেছে। কিন্তু তাহারা সম্পূর্ণ রূপে তদুপরি নির্ভর করিতেছেন না । নিরামিষ ভোজনের উৎকৃষ্টত প্ৰমাণ করিবার জন্য র্তাহারা এক নূতন উপায় অবলম্বন করিতেছেন । তঁহার স্থানে স্থানে নিরামিষ ভোজনালয় স্থাপন করিয়াছেন । সেখানে নানা প্ৰকার নিরামিষ ব্যঞ্জন পাক করিয়া সুলভ মূল্যে লোকদিগকে আঙ্গার করান হইয়া থাকে। লোকে হাতে কলমে দেখিতে পায়, নিরামিষ ভোজন অতি উপাদেয় অণাচ স্বাস্থ্যকর ও শস্ত । ইহার অপেক্ষা অধিক কাৰ্য্যকর প্রচার আর কি হইতে পারে ? সেই-- রূপ দেশের লোককে নূতন কৃষি প্ৰণালী শিক্ষা দিতে হইলে আদর্শ কৃষিক্ষেত্ৰ প্ৰস্তুত করা আবশ্যক হয়। সেইরূপ ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের উদার ও উন্নত আদর্শ দেশের লোককে দেখাইতে হইলে, এক একটী পরিবারে অগ্ৰে তাহ সাধন করিয়া দেখাইতে হয়। তৎপরে তাহা চতুর্দিকে ব্যাপ্ত হয়। এদেশে এরূপ প্রচারের বিশেষ প্রয়োজন দৃষ্ট হয়। এদেশের সাধারণ লোকের মনে এই সংস্কার আছে, যে পৌত্তলিক উপাসনা প্ৰণালী বৰ্জন করিলে, লোকের মনের ধৰ্ম্মভাব ভগ্ন হইয়া যাইবে ; তাহার শ্রদ্ধা-ভক্তি-হীন হইয়া নাস্তিকতা ও ক্ষুদ্র বিষয়াসক্তি মধ্যে পতিত হইবে। দ্বিতীয়তঃ