পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের উন্নত আদর্শ, মামাজিক ও পারিবারিক । teፃ একের আত্মার উন্নত অবস্থা লাভের সঙ্গে অপরের কোনও সম্পর্ক নাই। মহাত্মা বুদ্ধ মৃত্যুশয্যাতে শিষ্যদিগকে এই শেষ উপদেশ দিলেন-“প্ৰত্যেকে একাগ্ৰতা সহকারে নিজ নিজ মুক্তিসাধনে রত থাক।” হিন্দুধৰ্ম্মের এবং বৌদ্ধধৰ্ম্মের সার নিষ্কৰ্ষ করিলে সর্বত্রই এই উপদেশ প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। একদিকে দেখিতে গেলে ইহা অতি বিচিত্র ব্যাপার ! জাতিভেদ প্ৰণা নিবন্ধন হিন্দুসমাজ কঠিন জাতীয়তার নিগড়ে বদ্ধ ; অথচ ইহার ধৰ্ম্মসাধন-সংক্রান্ত সমুদায় কাৰ্য ব্যক্তিত্বপ্রধান ; তাহ। একজনেরই কাৰ্য্য। বোধ হয় জাতিভেদ প্ৰথা হইতেই হিন্দুসমাজ মধ্যে এই এক-নায়কত্বের ভাব প্রস্ফুটিত ৷ হইয়াছে। জাতিভেদ প্ৰথা নিবন্ধন সমাজ-দেহে অভ্যস্তরীণ অন্তর্বিচ্ছেদ চলিয়াছে ; সুতরাং কোনও অনুষ্ঠানই দশজনে মিলিয়া করা সুসাধ্য হয় নাই ; কোনও সামাজিক অধিকার বা সুখ লাভের জন্য সম্মিলিত ভাবে কাৰ্য্য করা সম্ভব হয় নাই ; কাজেই ধৰ্ম্মার্থী দিগকে এক এক কাৰ্য্য করিতে হইয়াছে। এইরূপে এখানে সকল প্রকার সদনুষ্ঠানই একা একা। ধ্যান ধারণা করিবে তাহা এক এক ; দান ধৰ্ম্ম করিবে এক এক ; খাত পূৰ্ত্ত প্রভৃতি কীৰ্ত্তি-স্থাপন করিবে একা একা; পূজা জাপাদি করিবে এক একা । হিন্দু পুজা স্থলে দশজন উপস্থিত থাকিতে পারে, কিন্তু সে কাৰ্য্যটী একজনেরই, অপরের দর্শক মাত্র । এই যে ধৰ্ম্মচিন্তার এক-প্রবণতা, ইহা প্ৰাচ্য ধৰ্ম্মের বিশেষ ভাব । 鸭 পূর্বেই বলিয়াছি। এই উভয় ধৰ্ম্মধারা আমাদের হৃদয়ক্ষেত্রে