পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓbጋ” 牙丐丐可可比 শাস্তি দিয়াছেন। যেরূপ নির্দোষ কাম্য-বস্তু সকল গৃহী লোকে প্রতিদিনই ভোগ করিতেছে এবং ভোগ করাতে কিছুই লজ্জার বিষয় মনে করে না, সেই সকল বস্তু ভোগের বাসনা তাহদের অস্তরে উদয় হইবামাত্র তাহারা আপনাদিগকে গুরুতর শাস্তি দিয়াছেন । কেহ বা অনাহারে ও অনিদ্রায় শরীর ভগ্ন করিয়া ফেলিয়াছেন ; কেহ বা পৃষ্ঠদেশ অনাবৃত করিয়া অপরের হস্তে চাবুক দিয়া ক্ৰমাগত প্রতার করিতে বলিয়াছেন এবং যতক্ষণ না দর দর ধারে রুধির-ধারা প্ৰবাহিত হইয়াছে, ততক্ষণ নিবৃত্ত হন নাই। সেণ্ট ফ্রান্সিস ডি এসিসি নামক একজন খ্ৰীষ্টীয় সাধুর বিষয়ে এরূপ কথিত আছে যে, একবার পীড়িত হইয়া বন্ধুবর্গের ও শিষ্যগণের আগ্ৰহাতিশয় নিবন্ধন তিনি মাংসের ফুষ পান করিয়াছিলেন। তৎপরেই তাহার এরূপ প্রবল অনুতাপের উদয় হইল যে, নিজ গলে রজ্জ্ব বাধিয়া একজন শিষ্যকে সেই রাজু ধরিয়া দ্বারে দ্বারে লইয়া যাইতে বাধ্য করিলেন । এইরূপে দ্বারে দ্বারে গিয়া তিনি বলিতে লাগিলেন,-“দেখ আমি কি অধম ! সামান্য দেহের জন্য সেই যুষ পান করিলাম, যদ্বারা হয় তা কত দরিদ্রের প্রাণ রক্ষা হইতে পারিত।” বর্তমান সময়ের ধৰ্ম্মসাধকগণ এরূপ আত্ম-নিগ্রহের প্রয়োজনীয়তা আর অনুভব করেন না । অবশ্য এ কথা স্বীকাৰ্য্য যে, ধৰ্ম্মজীবনের প্রথমাবস্থাতে জিতাত্মাতা লাভ করিবার জন্য সময়ে সময়ে নির্দোষ কাম্য-বস্তু সকলও বর্জন করিতে হয় ; বলবান ইন্দ্ৰিয়াশ্বকে রশ্মির দ্বারা উত্তমরূপ সংযত করিতে হয় ;