পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মসাধকের সুখভোগ । ur '» ইহা স্বীকার করিতেই হইবে। সাধারণতঃ বলিতে গেলে, এই কথা বলিতে হয়, যে সুখ আমাদের আত্মা ও অনন্ত জীবন সংক্রান্ত তাহ উৎকৃষ্ট, আর যাহা আমাদের দেহ ও পার্থিব জীবন সংক্রান্ত তাহ নিকৃষ্ট ! এখন প্রশ্ন এই যাহা নিকুটি তাহা কিরূপে ধাৰ্ম্মিকের উপভোগ্য হইতে পারে ? এ স্থলে একটা কণা স্মরণ রাখিতে হইবে, তাহ। এই,- কোনও বিষয় তুলনাতে নিকৃষ্ট ঠাইলে ও নিষিদ্ধ না হইতে পারে অর্থাৎ তাহার অবলম্বনে পাপ না থাকিতে পারে। মনে কর বাষ্পীয় শকট অপেক্ষ। অশ্বযান নিকৃষ্ট, অশ্বব্যান অপেক্ষ গোযান নিকৃষ্ট, তাহ কে বলিতে পারে যে আমি যদি বাষ্পীয় শকটে না গিয়া গো শকটে যাই, আমার পাপ হুইবে ? তেমনি এই দেহ এবং এই পার্থিব জীবন সংক্রান্ত সুখ অধ্যাত্ম সুখ অপেক্ষা নিকৃষ্ট বলিয়া গণ্য হইলেও তাহার উপভোগে অপরাধ না থাকিতে পারে। বরং নিবিষ্ট চিত্তে চিন্তা করিলেই দৃষ্ট হইবে যে মঙ্গলময় বিধাতা অনেক সময়ে দৈহিক ও পার্থিব সুখকেও আমাদের উচ্চ আধ্যাত্মিক জীবনের সোপানরূপে ব্যবহার করিয়া থাকেন । জগতের রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ হৃদয়কে ঈশ্বর-শ্ৰীতিতে উন্নত করিয়া থাকে। বিধাতার অপুর্ব সৃষ্টিলীলার এই এক রহস্য দেখিতে পাই যে, যে সকল কাৰ্য্যের উপরে দেহ, মন, আত্মার রক্ষা উন্নতি নির্ভর করে, তাহার সঙ্গে তিনি সুখের যোগ করিয়া দিয়াছেন। উদ্দেশ্য বোধ হয়। এই যে, মানুষ সুখের লোভেও সেই কাৰ্য্য করিবে । অন্ন পান গ্ৰহণ ভিন্ন দেহ রক্ষা পায় না । সে V