পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bペ ধৰ্ম্মজীবন । জন্য ক্ষুধার আয়োজন আছে। ; কেবল তাঁহা নহে, অন্ন পাম, গ্রহণের সহিত এক প্রকার সুখের ও সংযোগ আছে। এইরূপে মনের পক্ষে জ্ঞান লাভ করা অতীব প্রয়োজনীয় ; সুতরাং জ্ঞান লাভের সঙ্গেও গভীর সুখের যোগ আছে। শিশুটি তাগার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হস্ত পদ সঞ্চালিত করিয়া আপনার মনে ক্রীড়া করিতেছে, তাহার অঙ্গগুলির গতিরোধ করিবার চেষ্টা কর, তাহার হস্ত পদ ধরিয়া রাখ, দেখিবে কিয়াৎক্ষণের মধ্যেই সে ক্ৰন্দন করিয়া উঠিবে। ইহার কারণ কি ? কারণ এই, হস্ত পদের ঐ ক্রিয় তাহার পক্ষে অতীব সুখজনক। সেই সুখের ব্যাঘাত হয় বলিয়াই সে ক্ৰন্দন করে । বিধাতার কি বিচিত্র কৌশল ! তিনি শিশুকে সুখের প্রলোভনে প্রলুব্ধ করিয়া তাহার হস্তপদ সঞ্চালিত করিয়া লইতেছেন, তাহার ক্ষুদ্র দেহের বৃদ্ধি ও বিকাশ করিতেছেন, সে তাহা জানিতেও পারিতেছে না। অত্যাবশ্যক কাৰ্য্যের সঙ্গে এ প্রকার সুখের যোগ না থাকিলে অনেক কাৰ্য মানুষ করিত না ; সুতরাং মানুষের শরীর মনের আশানুরূপ উন্নতি হইত না । তাহার বিচিত্ৰ বিধান এইরূপ, যে আমরা অনেক সময় নিকুন্ট সুখের সাহায্যে ও উন্নত জীবনে অগ্রসর হই। তবে ব্ৰহ্মসাধক কিভাবে কাম্যবস্তু সকল উপভোগ করিয়া থাকেন, উপনিষদকার ঋষি তাহাও নির্দেশ করিয়াছেন। “তিনি সর্বজ্ঞ ব্ৰহ্মের সহিত সৰ্ববিধ কামনার বস্তু উপভোগ করেন।” এইটুকু ভিতরকার সংকেত। যে সুখ ব্ৰহ্মের সহিত উপভোগ করিতে পার না, যাহা তঁহাকে ভুলিয়া উপভোগ কর, তাহা