পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ワー ধৰ্ম্মজীবন ৷ ” অন্বেষণ করিলে, সুখের আকাঙ্খা হৃদয়ে রাখিয়া কাজ করিলে, সুখ পাওয়া যাইবে না। সুখ নিরপেক্ষ হইয়া কৰ্ত্তব্য বোধে কাৰ্য্য করিয়া যাইতে হইবে, তাহা হইলে স্বতঃই সুখ আসিবে । মানুষের স্বভাবই এই যে যদি মানুষ সুখী হইলাম। কিনা বলিয়া একবার আত্মানুসন্ধানে প্ৰবৃত্ত হয় অমনি সুখ উবিয়া যায় । রাজ্যেশ্বর রাজা, যিনি সিংহাসনে আরুঢ়, যাহার নিদেশ পালনের জন্য শত শত ব্যক্তি সর্বদা প্ৰস্তুত, তিনিও যদি “সুখী হইলাম। কিনা ?” এই প্রশ্ন করিয়া আত্মানুসন্ধানে প্ৰবৃত্ত হন, তাহা হইলে আপনাকে দুঃখী বলিয়া দেখিতে পান । অতএব সুখের আকাঙ্খাকে হৃদয় হইতে বিদায় করিয়া জীবনের মহত্ব সাধনে ও কৰ্ত্তবা পালনে প্ৰবৃত্ত হইতে হইবে ; তাহা হইলে কে কোথা দিয়া অঞ্চল ভরিয়া সুখ দিয়া যাইবে, তাহা জানিতেও পরিবে না । অতএব যদি সুখ চাও, তবে সুখ চাহিও না,- এই কথা পরস্পর বিসম্বাদী হইলেও ইহার মধ্যে সত্য 可忆互| সুখ সম্বন্ধে দ্বিতীয় নিয়ম-জুখের অধীন হইলে চলিবে না । সৰ্ব্বদা দেখিবে যে কাম্যবস্তু উপভোগ করিতেছি, তাহা ঈশ্বরের আদেশ মাত্র ও প্রয়োজন হইবামাত্ৰ ছাড়িতে পার কি না ? যদি ঈশ্বরূদেশে তাঁহা। ছাড়িতে না পাের, জগতের কল্যাণের জন্য আবশ্যক হইলে পরিত্যাগ করিতে না পাের, তবে তুমি তাহাতে আসক্ত, তুমি তাহার অধীন, তোমাকে তাহা গ্ৰাস করিয়াছে, জয় করিয়াছে, ক্রীতদাস করিয়াছে। যে সুখের ক্রীতদাস, কিন্তু সুখের অধিপতি নহে, তাহার সুখ। ত্বরায় দুঃখে৷