পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মসাধকের সুখভোগ । *む পরিণত হয়। যে সুখের দাস কিন্তু ঈশ্বরের দাস নহে, সে ঈশ্বর-প্ৰীতির অধিকারী হয় না । স্বাধীনে স্বাধীনে প্ৰেম হয়, ক্রীতদাসের সহিত রাজ্যেশ্বরের কি প্ৰেম সম্ভব ? যে সুখের গোলাম ঈশ্বর-প্ৰীতি তাহার জন্য নহে। সুখ সম্বন্ধে তৃতীয় নিয়ম এই-সুখের প্রতি নিজের কোনও অধিকার বা দাওয়া আছে, এরূপ মনে করিবে না। তাহা ঈশ্বরের দান, সুতরাং ধন্যবাদের সহিত সমুদায় সুখকে গ্রহণ করিবে । আমরা অনেক সময়ে ধন্যবাদ-বিহীন হইয়া সুখভোগ করিতে যাই বলিয়া তাহার মিষ্টতা সম্পূর্ণরূপে অনুভব করিতে পারি না । গৃহস্থের গৃহে আমরা দুই শ্রেণীর শিশু দেখিতে পাই। কতকগুলি বালক বালিকা এমনি নিলোভ ও সরল প্ৰকৃতি যে তাঁহাদের জনক জননী একটু কিছু মিন্ট দ্রব্য দিবামাত্র তাহারা আনন্দে উৎফুল্ল হইয়া উঠে। “হে ! হে ! আমি কেমন খাবার পেয়েছি গো ! ” এই বলিয়া দৌড়িয়া গিয়া অপর দশজন সমবয়স্ক শিশুকে দেখাইবার জন্য ব্যগ্র। তখন হয়ত মাতা বলিতেছেন, “ওরে স্থির হ, তোকে আরও খাবার দিবার আছে, আরও মিষ্ট দিব ।” তাহার পক্ষে আর অধিক মিন্টের প্রয়োজন নাই সে যাহা পাইয়াছে তাহাই তাহার পক্ষে যথেষ্ট । কিন্তু আর এক শ্রেণীর শিশু দেখিতে পাই, তাহদের প্রকৃতি অন্য প্রকার। তাহারা অল্পে সন্তুষ্ট হয় না। প্রচুর পরিমাণে দিলেও খুঁত খুঁত করিতে থাকে। যাহা হস্তে পাইয়াছে সে দিকে দৃষ্টি করে না, মুখে বলিতে থাকে,“আরও দেও;” আরও-আরও-এই ‘আরও”