পাতা:ধর্ম্মজীবন (ষষ্ঠ খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিচ্ছেদের ধৰ্ম্ম ও মিলনের ধৰ্ম্ম।। ১১১ সাহাদের মধ্যে ধাৰ্শিকগণ চৰ্ম্মের যাতনাপ্রদ অঙ্গরক্ষা পরিধান করিয়া থাকিতেন, উপবাস অনাহারে শরীর শুষ্ক করিতেন, মধ্যে মধ্যে দেহ অনাবৃত করিয়া অপরের দ্বারা তাহাতে বেত্ৰাঘাত করাইতেন, গিরিগুহায় সামান্য ফলমূল আহার করিয়া বৎসরের পর বৎসর পড়িয়া থাকিতেন, সামান্য একটু স্বাভাবিক প্রবৃত্তির উদয় হইলে, দেহকে গুরুতর শান্তি দিতেন, যেন দেহ সকল নষ্টেশ্ন মূল। সাইময়ান ষ্টাইলাইট নামক একজন সাধক একটী স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করিয়া Duu BDBD BDBBS SLDDD DBDBDBDBBD DBz S sBBB DD DY যাতনা দিবার অবধি রাখেন নাই। এখনও তঁহাদের মধ্যে প্রাচীন ভাবাপন্ন সাধকগণের ভাব এই যে, আধ্যাত্মিক ভাবে শ্ৰেষ্ঠ অবস্থা লাভ করিতে হইলে, শরীরকে আত্মার বিরোধী জানিয়া তাহাকে পদে পদে নিগ্ৰহ করিতে হইবে । এইত গেল বিচ্ছেদের ধৰ্ম্ম ; কিন্তু ধিচ্ছেদের ধৰ্ম্ম আর চলিতেছে না । এখন জগতে মিলনের ধৰ্ম্মের প্রয়োজন হুইয়াছে। বিগত শতাব্দীর মধ্যে জ্ঞান DBDBDB DBBD DBB DDDSuuD L DDBBDDD DBB DDD ঘটিয়াছে। সর্বত্রই মিলন ও সন্ধিস্থাপন হইতেছে। বিজ্ঞান প্ৰমাণ করিয়াছেন যে, এ ব্ৰহ্মাণ্ডকে খণ্ড খণ্ড ভাবে দেখিবার উপায় নাই। ঘনিষ্ঠ একতাসূত্রে সমগ্ৰ ব্ৰহ্মাণ্ড গ্রথিত । সর্বত্র একই জ্ঞান, একই শৃঙ্খলা, একই শক্তি,- ইহার মধ্যে দুই নাই। বৰ্ত্তমান সময়ের একজন সৰ্ব্বাগ্রে-শ্রেণীগণ্য দর্শনবিৎ পণ্ডিত বলিয়াছেন, যদি বল ব্ৰহ্মাণ্ডের উপরে একাধিক দেবতা আছেন, তাহ হইলে বলিতে হইবে, তঁহাদের একটী কাৰ্য্যনিৰ্বাহক সভা আছে, এবং কখনও কোন বিষয়ে তাহদের মতভেদ হয় না, এবং যে কিছু কৰ্ম্ম হয়, এক মতেই হইয়া থাকে। অর্থাৎ ব্ৰহ্মাণ্ডের জ্ঞান, শক্তি ও শৃঙ্খলার এমনি একতা। একদিকে যেমন খণ্ড ব্ৰহ্মাণ্ডের বিচ্ছিন্ন অংশ সকল গ্রথিত হইয়া একত্ব সম্পাদনা করিতেছে, তেমনি মানবে মানবে বিচ্ছেদ ঘটাইবার জন্য প্রাচীনকালে যে সকল প্ৰাচীর উখিত করা হইয়াছিল, তাহাও ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে। বাণিজ্যের বিস্তার হইয়া, দেশ পৰ্য্যটনের সুবিধা হইয়া, জাতিতে জাতিতে আলাপ পরিচয় বন্ধুতা হইয়া, দিন দিন অনুভব করা যাইতেছে যে, এই বহু বিস্তীর্ণ মানবপরিবারের এক অংশকে দুঃখে রাখিয়া অপর অংশ সম্পূর্ণ সুখী হইতে পাৱে না। - ভারতে দুর্ভিক্ষ-ক্লেশ উপস্থিত হইলে, নিউইয়ার্কে রুটীয় দাম বাড়িয়া