পাতা:ধর্ম্মজীবন (ষষ্ঠ খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্যাণকৃৎ, দুৰ্গতি প্ৰাপ্ত হয় না। ८१ যেখানে মানুষ প্রেমের জুলুমটা অনুভব করে, সেখানে আত্মসমর্পণ আপনাপনি আসিয়া পড়ে । সে স্রোতে ভাসিয়া যায়, সে বন্দীভাবে নীত হয়। কিন্তু প্রেমের জুলুমটা সকল হৃদয়ে অনুভূত হয় না। সে শক্তি সকলেরই কাছে আছে কিন্তু মনকে চালাইতে পারে না । যেখানে পবিত্ৰচিত্ততা আছে, ব্যাকুলতা আছে, সে শক্তি সেই খানেই কাৰ্য্য করে। আমাদের জীবনযাত্রার যে যে শুভলগ্নে পবিত্ৰচিত্ততা ও ব্যাকুলত থাকে, সেই সেই শুভলগ্নে তাহা প্ৰকাশ পায়। এই শক্তি অবাধে আমাদের হৃদয়ে কাৰ্য্য করিতে পাইলেই আমাদের কাজ। ঈশ্বরের কাজ হয়। কল্যাণকৃৎ দুৰ্গতি প্ৰাপ্ত হয় না । BuDD DBDBBD DB0 BLEELY BKDBDBBDBDD BDB DBDD S DDSBYB একটা সৰ্ব্বপ্রধান, এবং বাস্তবিক সকল দেশের প্রবাদবাক্যের মধ্যে অতি উচ্চস্থান পাইবার যোগ্য । সে বচনটী এই :- ቄ “নাহি কল্যাণকৃৎ কশ্চিৎ দুৰ্গতিং তাত গচ্ছতি ।” অর্থ-হে তাত, যে কল্যাণকর কাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করে, সে কখনও দুৰ্গতি 2& द ध न । এই উক্তির মধ্যে কিরূপ সুদৃঢ় বিশ্বাস নিহিত রহিয়াছে। কল্যাণ যাহার চিন্তাতে, কল্যাণ যাহার অভিসন্ধিতে, কল্যাণ যাহার কাৰ্য্যে, এরূপ ব্যক্তি কখনই দুৰ্গতি প্ৰাপ্ত হয় না । ইহা কি সত্য ? এ কথা কি উপস্থিত ব্যক্তিগণের মধ্যে সকলেই বিশ্বাস করেন ? গীতাকার বলিয়াছেন, এ কথা সত্য, সকল সাধুজন বলিয়াছেন, এ কথা সত্য। কিন্তু এ কথার কি কোনও প্ৰমাণ আছে ? মানব-ইতিবৃত্ত কি এ কথার সাক্ষ্য দেয় ? দেখা যাউক । যে কল্যাণকে চায় সে দুৰ্গতি প্ৰাপ্ত হয় না, এই উক্তিকে আমরা প্ৰথমে এই অর্থে গ্ৰহণ করিতে পারি যে, সে যে কল্যাণকে লক্ষ্য স্থলে রাখিয়াছে, ষে কল্যাণের অভিমুখে সে চলিতেছে, যে কল্যাণকে সে কাৰ্য্যদ্বারা লাভ করিতে চাহিতেছে, সে কল্যাণ কখনই নষ্ট হয় না ; তাহা সংসাধিত হয়ই হয়। ர