পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

 W. ध्फूर्ष अशोव्र -भग्रुबारु कि | 懿 燃 * , :نيوتن ها * . . বেগার টালা রকম ভাবিলে কোন ফল নাই। সন্ধা কেবল আখড়াইলে কোনঞ্চল মাই। তাহার সর্বগুণসম্পন্ন বিশুদ্ধ স্বতাবের উপর চিত্ত স্থির করিত্বে হুইবে, ভক্তিভাবে উাহাঙ্কে হৃদয়ে ধ্যান করিতে হইবে। প্রীতির সহিত হৃদয়কে তাহার সম্মুখীন করিতে হইবে। র্তাহার স্বভাবের আদর্শে আমাদের স্বভাব গঠিত হইতে থাকুক, মনে এ ব্ৰত দৃঢ় করিতে হইবে —তাহ হইলেই সেই পবিত্র চরিত্রের বিমল জ্যোতি আমাদের চরিত্রে পড়িবে। র্তাহার নিৰ্ম্মলতার মত নিৰ্ম্মলতা, তাহার শক্তির অমুকারী সৰ্ব্বত্র-মঙ্গলময় শক্তি কামনা করিতে হইবে । র্তাহাকে সৰ্ব্বদা নিকটে দেখিতে হইবে, তাহার স্বভাবের সঙ্গে একম্বভাব হইবার চেষ্টা করিতে হইবে। অর্থাৎ তাহার সামীপ্য, সালোক্য, সারূপা, সাযুজ্য কামনা ৷ করিতে হইবে। তাহা হইলেই আমরা ক্রমে ঈশ্বরের নিকট হইব । আৰ্য্য ঋষিরা বিশ্বাস করিতেন যে, তাহা হইলে আমরা ক্রমে সারূপ্য ও সাযুজ্য প্রাপ্ত হইব,—ঈশ্বরের সঙ্গে এক হইব, ঈশ্বরেই লীন হইব । ইহাকেই মোক্ষ বলে। মোক্ষ আর কিছুই নয়, ঐশ্বরিক আদর্শ-নীত ঈশ্বরামুকুত স্বভাবপ্রাপ্তি। তাহ পাইলেই সকল দুঃখ হইতে মুক্ত হওয়া গেল, এবং সকল সুখের অধিকারী হওয়া গেল । শিষ্য। আমি এত দিন বুঝিতাম, ঈশ্বর একটা সমুদ্র, আমি এক ফোট জল, তাহাতে গিয়া মিশিব । গুরু । উপাসনা-তত্বের সার মৰ্ম্ম হিন্দুরা যেমন বুঝিয়াছিলেন, এমন আর কোন জাতিই বুঝে নাই । এখন সে পরম রমণীয় ও সুসার উপাসনাপদ্ধতি এক দিকে আত্মপীড়নে, আর এক দিকে রঙ্গদারিতে পরিণত হইয়াছে। - শিষ্য। এখন আমাকে আর একটা কথা বুঝান। মনুষে প্রকৃত মনুষ্যত্বের, অর্থাৎ সৰ্ব্বাঙ্গ-সম্পন্ন স্বভাবের আদর্শ নাই, এজন্য ঈশ্বরকে ধ্যান করিতে হইবে। কিন্তু ঈশ্বর অনন্তপ্রকৃতি । আমরা ক্ষুদ্র প্রকৃতি । র্তাহার গুণগুলি সংখ্যায় অনন্ত, বিস্তারেও অনন্ত । যে ক্ষুদ্র, অনন্ত তাহার আদর্শ হইবে কি প্রকারে ? সমুদ্রের আদর্শে কি পুকুর কাটা যায়, ন৷ আকাশের অনুকরণে চাদোয়। খাটান যায় ? গুরু । এই জন্য ধৰ্ম্মেতিহাসের প্রয়োজন। ধৰ্ম্মেতিহাসের প্রকৃত অাদর্শ নিউ টেষ্টেমেন্টের, এবং আমাদের পুরাণেতিহাসের প্রক্ষিপ্তাংশ বাদে সারভাগ ৷ ধৰ্ম্মেতিহাসে (Religious History) প্রকৃত ধাৰ্ম্মিকদিগের চরিত্র ব্যাখ্যাত থাকে। অনন্তপ্রকৃতি ঈশ্বর উপাসকের প্রথমাবস্থায় তাহার আদর্শ হইতে পারেন না, ইহা সত্য, কিন্তু ঈশ্বরের অমুকারী মমুন্যেরা, অর্থাৎ র্যাহাদিগের গুণাধিক্য দেখিয়া ঈশ্বরাংশ বিবেচনা করা যায়,