পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই তিৰেৱ ইতিহাস মিশ্র স্বয় এই পুস্তকের একাদশ অ্যায়ে গুরুর মুখ দিয়া বলিয়াছেন— फधछि डङ्ग५ অবস্থা হইতেই আমার মনে এই প্রশ্ন উদিত হইত, “এ জীবন লইয়া কি কৰিr “লইয়া কি করিতে হয় ?” সমস্ত জীবন ইহারই উত্তর খুজিয়াছি। উত্তর খুজিতে খুজিতে জীবন প্রায় কাটিয়া গিয়াছে। অনেক প্রকার লোক-প্রচলিত উত্তর পাইয়াছি, তাহার সত্যাসড্য নিরূপণ জন্য অনেক ভোগ ভুগিয়াছি, অনেক কষ্ট পাইয়াছি। যথাসাধ্য পড়িয়াছি, অনেক লিখিয়াছি, অনেক লোকের সঙ্গে কথোপকথন করিয়াছি, এবং কাৰ্য্যক্ষেত্রে মিলিত হইয়াছি। সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন, দেশী বিদেশী শাস্ত্র যথাসাধ্য অধ্যয়ন করিয়াছি। জীবনের সার্থকতা সম্পাদন জন্য প্রাণপাত করিয়া পরিশ্রম করিয়াছি। এই পরিশ্রম, এই কষ্ট ভোগের ফলে এইটুকু শিখিয়াছি যে, সকল বৃত্তির ঈশ্বরাচুবৰ্ত্তিতাই ভক্তি, এবং সেই ভক্তি ব্যতীত মচুন্যত্ব নাই। “জীবন লইয়া কি করিব ?" এ প্রশ্নের এই উত্তর পাইয়াছি । ইহাই যথার্থ উত্তর, আর সকল উত্তর অযথার্থ। লোকের সমস্ত জীবনের পরিশ্রমের এই শেষ ফল ; এই এক মাত্র স্বফল। ভূমি জিজ্ঞাসা করিতেছিলে, আমি এ তত্ত্ব কোথায় পাইলাম। সমস্ত জীবন ধরিয়া, জামাব প্রশ্নের উত্তর খুজিয়া এতদিনে পাইয়াছি –পৃ. ৬৮-৬৯ । ধৰ্ম্মতত্বের বিষয় পুরাতন কিন্তু ভাব ও বর্ণনাভঙ্গি নুতন। ইহার জবাবদিহিম্বরূপ বঙ্কিমচন্দ্র বলিয়াছেন— - আমার স্তায় ক্ষুত্র ব্যক্তির এমন কি শক্তি থাকিবার সম্ভাবনা যে, যাহা আধ্য ঋষিগণ জানিতেন না—আমি তাহা আবিষ্কৃত করিতে পারি। আমি যাহা বলিতেছিলাম, তাহার তাৎপৰ্য্য এই ষে, সমস্ত জীবন চেষ্টা করিয়া তাহাদিগের শিক্ষার মর্শগ্রহণ করিয়াছি। তবে, আমি যে ভাষায় তোমাকে ভক্তি বুঝাইলাম সে ভাষায়, সে কথায়, তাহারা ভক্তিতত্ত্ব বুঝান নাই। তোমরা উনবিংশ শতাব্দীর লোক—উনবিংশ শতাব্দীর ভাষাতেই তোমাদিগকে বুঝাইতে হয়। ভাষার প্রভেদ হইতেছে বটে, কিন্তু সত্য নিত্য –পৃ. ৬৯ ৷ - ১২৯১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসের প্রারম্ভে অক্ষয়চন্দ্র সরকার-সম্পাদিত মাসিক পত্র নবজীবন প্রকাশিত হয়। শ্রাবণ সংখ্যার প্রথম প্রবন্ধ বঙ্কিমচন্ত্রের “ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাসা"।