ৰৰি সকলের মূল ছিল, তাহা বুঝা যায়। মঞ্চ ষে জনিষ্টকারী, 52 مبيوتي এবং যাহাকেই তুমি ধৰ্ম্ম বল, তাহারই বিস্ত্রকর, এ কথা বোধপ্ৰরি তোমাকে কষ্ট পাইয়া । যুঝাইতে হইবে না। মন্ত নিষেধ করিয়া হিন্দুশাস্ত্রকারের ভালই করিয়াছেন। -- শিস্য। কোন অবস্থাতেই কি মস্ত ব্যবহার্ষ্য নহে । গুরু। যে পীড়িত ব্যক্তির পীড়া মস্ত ভিন্ন উপশমিত হয় না, তাহার পক্ষে ব্যবহার্য্য হইতে পারে। শীতপ্রধান দেশে, বা অস্ত দেশে শৈত্যাধিক্য নিবারণ জন্য ব্যবহার্য্য হইলে হইতে পারে। অত্যন্ত শারীরিক ও মানসিক অবসাদকালে ব্যবহার্য্য হইলে হইতে পারে। কিন্তু এ বিধিও চিকিৎসকের নিকট লইতে হইবে—ধৰ্ম্মোপদেষ্টার নিকট নহে। কিন্তু একটি अभन অবস্থা আছে যে সে সময়ে বৈজ্ঞানিক বা চিকিৎসকের কথার অপেক্ষ বা কাহারও বিধির অপেক্ষ না করিয়া পরিমিত মদ্য সেবন করিতে পার। শিষ্য। এমন কি অবস্থা আছে ? ষ্ট্র গুরু। যুদ্ধ। যুদ্ধকালে মদ্য সেবন করা ধৰ্ম্মানুমত বটে। তাহার কারণ এই যে, যে সকল বৃত্তির বিশেষ ফুৰ্ত্তিতে যুদ্ধে জয় ঘটে, পরিমিত মদ্য সেবনে সে সকলের বিশেষ ফুৰ্ত্তি জন্মে। এ কথা হিন্দুধৰ্ম্মের অননুমোদিত নহে। মহাভারতে আছে যে জয়দ্ৰথ বধের দিন, অর্জুন একাকী ব্যুহ ভেদ করিয়া শত্রু সেনা মধ্যে প্রবেশ করিলে, যুধিষ্ঠির সমস্ত দিন তাহার কোন সম্বাদ না পাইয়া ব্যাকুল হইয়াছিলেন। সাত্যকি ভিন্ন আর কেহই এমন বীর ছিল না, সে ব্যুহ ভেদ করিয়া তাহার অনুসন্ধানে যায়। এ ছক্ষর কাৰ্য্যে যাইতে যুধিষ্ঠির সাত্যকিকে অনুমতি করিলেন । তত্ত্তরে সাত্যকি উত্তম মদ্য চাহিলেন । যুধিষ্ঠির র্তাহাকে প্রচুর পরিমাণে উত্তম মদ্য দিলেন। মার্কণ্ডেয় পুরাণে পড়া যায় যে, স্বয়ং কালিকা অসুর বধকালে সুরাপান করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । সিপাহী-বিদ্রোহের সময়ে চিন্হটের যুদ্ধে ইংরেজসেনা হিন্দু মুসলমান কর্তৃক পরাভূত হয় । স্বয়ং Sir Henry Lawrence সে যুদ্ধে ইংরেজসেনার নায়ক ছিলেন, তথাপি ইংরেজের পরাজয় ঘটিয়াছিল। ইংরেজ ইতিহাস-লেখক সর জন কে ইহার একটি কারণ এই নির্দেশ করেন যে ইংরেজসেনা সে দিন মদ্য পায় নাই । অসম্ভব নহে । যাই হৌক, মদ্য সেবন সম্বন্ধে আমার মত এই যে (১) যুদ্ধকালে পরিমিত মদ্য সেবন করিতে পার, (২) পীড়াদিতে সুচিকিৎসকের ব্যবস্থানুসারে সেবন করিতে পার, (৩) অক্ষা কোন সময় সেবন করা অবিধেয় । শিষ্য। মৎস্য মাংস সম্বন্ধে আপনার কি মত? 种 * ^ : 1’
পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫৭
অবয়ব