. . মধ্যে দয়া কোথায় । 鷲'。 - গুরু । স্নেহ অাছে স্বীকার কর ? শিয়া। করি, কিন্তু স্নেহ ত ঐতি । শুরু । কেবল ঐতি নহে। প্রীতি ও দয়ার মিশ্রণে স্নেহ । সুতরাং মধুর ভাবের ভিতর দয়াও আছে । ভক্তি, প্রীতি, দয়া, মনুষ্যবৃত্তির মধ্যে শ্রেষ্ঠ। তন্মধ্যে ভক্তিই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ । এই ভক্তি ঈশ্বরে ব্যস্ত হইলেই, অন্ত ধৰ্ম্মাবলম্বীর সন্তুষ্ট হইলেন, ধর্মের উদ্দেশ্ব সিদ্ধ হইল। কিন্তু বাঙ্গালার বৈষ্ণবেরা তাহাতেও সন্তুষ্ট নহেন, তাহার চাহেন যে, তিনটি শ্রেষ্ঠ বৃত্তিই ঈশ্বরমুখী হইবে। ইহা এক দিনের কাজ নহে। ক্রমে একটি একটি, ছুইটি হুইটি করিয়া শাস্ত, দাস্ত, সখ্য, বাৎসল্যের পর্য্যায়ক্রমে সৰ্ব্বশেষে সকলগুলিই ঈশ্বরে অর্পণ করিতে শিখিতে হইবে, তখন “রাধা” ( যে আরাধনা করে ) হইতে পারা যায় । কিন্তু ঈশ্বরভক্তির কথা এখন থাক। আগে মনুষ্যে ভক্তির কথা বলা যাউক । যিনিই আমাদের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এবং র্যাহার শ্রেষ্ঠত হইতে আমরা উপকৃত হই, তিনিই ভক্তির পাত্র। ভক্তির সামাজিক প্রয়োজন এই যে, (১) ভক্তি ভিন্ন নিকৃষ্ট কখন উৎকৃষ্টের অনুগামী হয় না । (২) নিকৃষ্ট উৎকৃষ্টের অমুগামী না হইলে সমাজের ঐক্য থাকে না, বন্ধন থাকে না, উন্নতি ঘটে না । - দেখা যাউক, মনুষ্যমধ্যে কে ভক্তির পাত্র। (১) পিতামাতা ভক্তির পাত্র। তাহারা যে আমাদের অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ তাহা বুঝাইতে হইবে না। গুরু জ্ঞানে শ্রেষ্ঠ, আমাদের জ্ঞানদাতা, এজন্য তিনিও ভক্তির পাত্র। গুরু ভিন্ন মনুষ্যের মনুষ্যত্বই অসম্ভব, ইহা শারীরিক বৃত্তি আলোচনা কালে বুঝাইয়াছি। এজন্য গুরু বিশেষ প্রকারে ভক্তির পাত্র। হিন্দুধৰ্ম্ম সৰ্ব্বতত্ত্বদর্শী, এজন্য হিন্দুধর্মের গুরুভক্তির উপর বিশেষ দৃষ্টি । পুরোহিত, অর্থাৎ যিনি ঈশ্বরের নিকট আমাদের মঙ্গল কামনা করেন, সৰ্ব্বথা আমাদের হিতানুষ্ঠান করেন এবং আমাদের অপেক্ষা ধৰ্ম্মাত্মা ও পবিত্রম্বভাব, তিনিও ভক্তির পাত্র। যিনি কেবল চাল কলার জন্য পুরোহিত, তিনি ভক্তির পাত্র নহেন। স্বামী সকল বিষয়েই স্ত্রীর অপেক্ষা শ্ৰেষ্ঠ, তিনি ভক্তির পাত্র। হিন্দুধৰ্ম্মে ইহাও বলে, যে স্ত্রীরও স্বামীর ভক্তির পাত্র হওয়া উচিত, কেন না, হিন্দুধৰ্ম্ম বলে যে স্ত্রীকে লক্ষ্মীরূপ মনে করিবে । কিন্তু এখানে হিন্দুধর্মের অপেক্ষ কোম্ৎ ধৰ্ম্মের উক্তি কিছু স্পষ্ট এবং শ্রদ্ধার যোগ্য। যেখানে স্ত্রী স্নেহে, ধর্মে বা 切ー
পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৫
অবয়ব