নোয় কথায় তাৎপর্ক কি এইরূপ বুৰিডে হইৰে ণে উপকৃত, তাহার প্রতি সেই পরিমাণে ভক্তিযুক্ত হইব । हैं:सक। छाश नरश् । डखि कृङख्ठछ नरश् । अरनक गभग्न निङ्गहेब निकईe কৃতজ্ঞ হইতে হয়। ভক্তি পরের জন্য নহে, আপনার উন্নতির জন্য। যাহার ভক্তি নাই, তাহার চরিত্রের উন্নতি নাই। এই লোকশিক্ষকদিগের প্রতি যে ভক্তির কথা বলিলাম, ঙাহাই উদাহরণ স্বরূপ লইয়া বুঝিয়া দেখ। তুমি কোন লেখকের প্রণীত গ্রন্থ পড়িঙেছ। যদি সে লেখকের প্রতি তোমার ভক্তি না থাকে, তবে সে গ্রন্থের দ্বারা তোমার কোন উপকার হইবে না। র্তাহার প্রদত্ত উপদেশে তোমার চরিত্র কোনরূপ শাসিত হইবে না। তাহার মৰ্ম্মার্থ তুমি গ্রহণ করিতে পারিবে না। গ্রন্থকারের সঙ্গে সহৃদয়ত না থাকিলে, তাহার উক্তির তাৎপৰ্য্য বুঝা যায় না। অতএব জগতের শিক্ষকদিগের উপর ভক্তি না থাকিলে শিক্ষা নাই। সেই শিক্ষাই সকল উন্নতির মূল ; অতএব সে ভক্তি ভিন্ন উন্নতিও নাই। ইহাদের প্রতি সমুচিত ভক্তির অনুশীলন পরম ধৰ্ম্ম । শিষ্য। কৈ, এ ধৰ্ম্ম ত আপনার প্রশংসিত হিন্দুধৰ্ম্মে শিখায় না ? গুরু। এটা অতি মূখের মত কথা। বরং হিন্দুধৰ্ম্মে ইহা যে পরিমাণে শিখায়, এমন আর কোন ধৰ্ম্মেই শিখায় নাই। হিন্দুধৰ্ম্মে ব্রাহ্মণগণ সকলের পূজ্য। তাহারা যে বর্ণশ্রেষ্ঠ এবং আপামর সাধারণের বিশেষ ভক্তির পাত্র, তাহার কারণ এই যে ব্রাহ্মণেরাই ভারতবর্ষে সামাজিক শিক্ষক ছিলেন। র্তাহারা ধৰ্ম্মবেত্তা, ঠাঙ্গারাই নীতিবেত্তা, তাহারাই বিজ্ঞানবেত্তা, তাহারাই পুরাণবেত্তা, তাহারাই দার্শনিক, র্তাহারাই সাহিত্যপ্রণেত, র্তাহারাই কবি । তাই অনন্তজ্ঞানী হিন্দুধর্মের উপদেশকগণ র্তাহাদিগকে লোকের অশেষ ভক্তির পাত্র বলিয়া নির্দিষ্ট করিয়াছেন । সমাজ ব্রাহ্মণকে এত ভক্তি করিত বলিয়াই, ভারতবর্ষ অল্পকালে এত উন্নত হইয়াছিল । সমাজ শিক্ষাদাতাদিগের সম্পূর্ণ বশবৰ্ত্তী হইয়াছিল বলিয়াই সহজে উন্নতিলাভ করিয়াছিল। শিষ্য। আধুনিক মত এই যে, ভণ্ড ব্রাহ্মণের। আপনাদিগের চাল কলার পাকা বন্দোবস্ত করিবার জন্য এই ফুৰ্জয় ব্ৰহ্মভক্তি ভারতবর্ষে প্রচার করিয়াছে। গুরু। তুমি যে ফলের নাম করিলে, র্যাহারা তাহা অধিক পরিমাণে ভোজন করিয়া থাকেন, এ কথাটা তাহাদিগের বুদ্ধি হইতেই উদ্ভূত হইয়াছে। দেখ, বিধি বিধান ব্যবস্থা
পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৮
অবয়ব