পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्डक्। ১২৩ ৷ ] বিবেক । তুমি একথা অবশ্য জান পূর্বে অনন্তস্বরূপের পর আনন্দস্বরূপের ব্যাখ্যা হইত ; এ ব্যাখ্যা অল্পে অল্পে একেবারে আরাধনার অন্তিম ভাগে আসিয়া । উপস্থিত হইয়াছে। এরূপ কিছু হঠাৎ হয় নাই। প্রথমে আনন্দের যে ব্যাখ্যা । হইত, তাহ অনন্তস্বরূপেরই ভাবপক্ষ ছিল, তাহার দৃষ্টান্ত স্বরূপ কেশবচন্দ্রের আরাধনার এই কথাগুলি শ্রবণ করা :-“কোন দিকে গেলে, আবার এলেই বা কোন দিক দিয়া । এই না তুমি অচিন্ত্য হয়ে চলে গেলে । .....ঐ ভক্তকে ধরে আনতে মোহিনীমূৰ্ত্তি ধরে আনন্দময়ী হ’য়ে প্ৰকাশ হলে |” এই সকল কথায় অনন্তের আনন্দ হইয়া পুনরাগমন অনন্তের অন্য দিক । এখনও সাক্ষাৎসম্বন্ধে আনন্দের আরাধনা ধে উপস্থিত হয় নাই, তাহা এই কথা গুলিতে বুঝিতে পরিবে : —“ছেলেদের ক্ৰন্দন শুনে, ‘মেরেছে তোদের ?” অমনি এ কথা বলে, চক্ষের জল মুছাইরা দিলে। আমি বলি কে আমার চক্ষের জল মুছিয়া দিলে ? আনন্দ দেওয়া তোমার কাজটা কি না, আনন্দ দিলে, দেখা নাই দিলে । আমি আত্মহত্যা কৰ্ত্তে যাচ্ছিলাম, এমন সময় আমার এত উপকার কে কৱলে ? এমন জন্মদুঃখীটাকে আবার শান্তিসুখ দিলেন কে ?” আনন্তের ভাবপক্ষে যেমন সমুদায় জগৎ ও জীব তন্মধ্যে অন্তভূতি দেখা যায়, ७a२ाभ७ ऊाछा३ व्याgछ । 'झठा९ সুখের রাজ্য প্রকাশ করিলে।” এইটুকুতে মাত্র জগতের উল্লেখ, কিন্তু জীবের উল্লেখ অতি সুস্পষ্ট। “তোমার পিছনে ওসকল লোকগুলি কি কচ্ছেন ? তারা এত চেচামেচি করেন কেন ? আনন্দরস পান করে মাতলামি আরম্ভ করেছেন ?” “ভক্তেরা কি কচ্ছেন আমরা কি টের পাচ্ছি না। দূর থেকে ?” “তুমিই না সেই, । হে আনন্দসমূদ্র ! যার মাঝে ভক্ত গুলি মাছের মত বেড়ায়, একবার এদিকে । একবার ওদিকে।” এই আনন্দ যে রসস্বরূপ এবং রসম্বরূপে যে আনন্দের সহিত সাক্ষাৎসম্বন্ধ, তাঙ্কা ও তৎকালে প্রকাশ পাইয়াছে!—“ঐ পাত্র রসে পূর্ণ • - যাহা দেখােচ্ছ।” এই সাক্ষাৎসম্বন্ধ দিন দিন পরিস্ফুট হইয়া আসিয়াছে, আর | কেশবচন্দ্ৰ বলিয়াছেন, “হাস দেখি, আমার পানে তাকাতিয়া খুব হাস দেখি, যেমন করিয়া ভক্তদের মুখের পানে তােকাষ্টয়া হাদী।” যখন এই ‘হাসির আমদানি’ তাহার নিকট হহ’ল, ७९न उन्मन् द्र८ि° আরাধনায় टा३९न्म পৰ্য্যাপ্ত হইল। " ... বুদ্ধি। তুমি অনন্তের ভাবপক্ষ পূৰ্ব্ব হইতে আছে দেখাইলে কিন্তু आनन्या