পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

· · · “ : ነዥ : ` 2 " ... ፕ ` ' , i "... " "r ধৰ্ম্মতত্ত্ব । ১৬১ ৷৷ ও জীব সাধকের চক্ষুকে আচ্ছাদিত করিয়া রাখিয়াছে । সে ঋদখিতে গিয়া জগৎ ও জীবকেই দেখে, ব্ৰহ্মকে দেখিতে পায় না । তিনি আছেন, জগৎ ও : জীবের সত্তা হইতে নিৰ্দ্ধারণ করা সাক্ষাৎ দর্শন নহে। জগৎ • জীব চলিয়া গলেও যে সত্তা চলিয়া যায় না, সেই সত্তার প্রত্যক্ষ উপলব্ধি সাক্ষীৰ দশন । , তৈনি ভিন্ন আর কিছু নাই চিন্তা করিতে করিতে যখন জগৎ ও জীব মন হইতে মন্তর্কিত হইয়া যায়, জগৎ-ও-জীববি রহিত এক সত্তামাত্ৰ চিন্তাপথে থাকিয়া যায়, খনই “ ও তৎসৎ” “একমেবাদ্বিতীয়ম” এ স্বরূপঘটিত উপাসনার কার্য্য সম্পন্ন ইল । এরূপ সাধনে বৈরাগ্য পরম সহায় - এজন্য রাজা রামমোহন রায়ের ময়ে যে সকল সঙ্গীত আছে, ॐ বৈরাগাঘটিত । জগৎ ও জীলে আসক্ত ক্তির মন হইতে জগৎ ও জীব কখন উড়িয়া যাইতে পারে না, সুতরাং তৎপতি সক্তিচ্ছেদনের জন্য বৈরাগ্য নিৰ্তিান্ত প্রয়োজন । বুদ্ধি । জগৎ ও জীব উড়াইয়া দিয়া “সত্তামাত্ৰা” অবশেষ রাখা এ সাধন কি 2ーエ3 गशाग्र রাজা রামমোহনই প্ৰবৰ্ত্তিত করিয়াছেন বিবেক । তুমি যখন ইতিহাসের আদর জান, তখন এ প্ৰবৰ্ত্তনার মূলে তকালের ইতিহাস আছে, ইহা সহজেই তুমি বিশ্বাস করিবে। বৌদ্ধধৰ্ম্মে যে ধৰ্মাণসাধন আছে তাহা তুমি অবগত আছ। এই নিৰ্ব্বাণ সৰ্ব্বোপরাম” বা বৃত্তি’ বলিয়া আৰ্য্যশাস্ত্ৰে প্ৰসিদ্ধ। আচাৰ্য্য শঙ্কর বৌদ্ধমতনিরসন করিতে সৰ্ব্বোপরম বা নিবৃত্তির মাহা ত্ম্য বিশেষরূপে হৃদয়ঙ্গম করিয়াছিলেন। [ায় উড়াইয়া দিয়া ব্ৰহ্মসত্তা প্ৰত্যক্ষ করণীরূপ নিবৃত্তিপথ তিনি হিন্দুসমাজে তিষ্ঠিত করেন । আচাৰ্য্য শঙ্কর এই এক কারণেই প্ৰতিযোগী সম্প্রদায় হইতে চুন্ন বৌদ্ধ আখ্যা লাভ করিয়াছেন। আর সকল উড়াইয়া দিয়া কেবল মাত্রপরিগ্রহ বাস্তবিক নিন্দার বিষয় নয়, সাধনের আরম্ভে যোগকে দৃঢ় র উপরে স্থাপিত করিবার জন্য এ পথাবলম্বন অতীব প্রয়োজন । রাজা মোহনু শঙ্করের অনুবর্তন করিয়া সৰ্ব্ববিষয়নিরপেক্ষ সত্তায় ব্রাহ্মসমাজের বারম্ভ করিয়াছিলেন। তিনি এই পৰ্য্যন্ত করিয়া গেলেন, কিন্তু ইহার @亨5 }াগী তাহার পরে র্যাহারা আসিলেন তঁাহারা হইলেন। বৃদ্ধি । “ও তৎ সৎ" “একমেবাদ্বিতীয়ম' এই দুইটি লইয়া ব্ৰাহ্মসমাজের পনার আরম্ভ চটয়াছিল। ইহাতে কেবল নিবৃত্তি বা অভাব পক্ষের (天