পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

M , কি কথা বলিতেছ? এতে কেবল গোল বাধিবে তাঁহা নয়, ঝগড়া বাধিয়া ? ? বাইবে। এইরূপ করিয়াই তো ধৰ্ম্মের ভিতরে সাম্প্রদায়িকতা উপস্থিত হয়: ; } বিবেক। আমি বাহা বলিতেছি, তাহাতে ঝগড়া বাধিবে কেন্স , যেখান ? হইতে মন্ত্রটি তুলিয়া লওয়া হইয়াছে, সেখানকার সমগ্ৰ অংশটি যাহারা বিচার - [, তাহারা বুঝিবে যে আমি বাহা বলিতেছি তাহাই ঠিক । সত্যের " | করিয়া দেখিবে, তাহারা বুঝিবে যে আমি । i প্রতি অনুরাগ না থাকিলে ধৰ্ম্ম সাধন হয় না। যাহাদিগের সত্যের প্রতি অনু- : হইবে, তাহারা বিরোধ ও বাধাইবে না, এজন্য বিভক্ত হইয়া ও পড়িবে না। – বুদ্ধি। কি কতকগুলি কথা বলিয়া যাইতেছ, কিছুই বুঝিয়া উঠিতে পারি- ; তেছি না। কোথা হইতে মন্ত্রটি তোলা হইয়াছে, তার পূর্বাপর কি, ইহা না । জানিলে কি আর এ সব কথা বোঝা যায় ? ? ? বিবেক । ‘भन्नानब्र°भभूऊ९ षष्ट्विङाङि? d অংশটি ; মুণ্ডকোপনিষৎ হইতে । ] গ্ৰহণ করা হইয়াছে। ভূলোকে, দেহ, মন, প্ৰাণ, বৃদ্ধি, অন্ন ইত্যাদিতে যিনি । প্রতিষ্ঠিত, সেই অমৃতকেই জ্ঞানিগণ আনন্দ রূপে প্রকাশিত দেখিতে পান, এইটি । সেই শ্রুতির মূল অর্থ। দেখ, সকল বস্তুর সহিত ব্ৰহ্মের সম্বন্ধবশতঃ সেই সকল । হইতে যে আনন্দ প্ৰকাশ পায়, এখানে সেই আনন্দকে লক্ষ্য করা হইয়াছে। । এ আনন্দকে সমুদায় পদার্থ হইতে স্বতন্ত্ৰ কৰিয়া লইয়া এস্থলে সাক্ষাৎসম্বন্ধে গ্ৰহণ করা হয় নাই। সৰ্বশেষে যে আনন্দের আরাধনা হয়, সে আনন্দ পদাৰ্থ । সমূহের মধ্যদিয়া প্ৰতিভাত আনন্দ নয়। সাক্ষাৎ আনন্দস্বরূপের স্বরূপবাচক । শ্রুতি রসো বৈ সঃ’। এ শ্রুতি মন্ত্ররূপে আরাধনায় গৃহীত হয় নাই বটে, কিন্তু আনন্দের যাহা ব্যাখ্যা হয় তাহাতে যদি কোন মন্ত্রযোগ করা উচিত হয়, তাহা হইলে “রসো বৈ সঃ’ এইটি যোগ করা উচিত। এরূপে । যোগ করিলে সমুদায় । আরাধনার মন্ত্র হইল “সত্যং জ্ঞানমনস্তং ব্ৰহ্ম’ ‘আনন্দ রূপমমৃতং बखिडाि • “শান্তিং শিবমদ্বৈতং’ ‘শুদ্ধমপাপবিদ্ধম৷” “রসো বৈ সঃ’। ‘শুদ্ধমপাপবিদ্ধৰ পৰ্য্যন্ত । * বলা সাধকগণের বহুদিনের অভ্যাস হইয়া গিয়াছে। রসো বৈ সঃ’ যোগ করিলে | কেহ উচ্চারণ করিলেন, কেহ করিলেন না, এইরূপ গোলের সম্ভাবনা । তাই । এই মন্ত্র যোগ না করিয়া। তদুপযোগী ব্যাখ্যা হইয়া থাকে। কেহ এ মন্ত্র আরা