বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

જ૨ ধৰ্ম্মবিজ্ঞান । প্রত্যেক ব্যক্তিই চিন্তায়, মনে, কার্য্যে একখণ্ড প্রস্তর বা এই টেবিলটার মত বদ্ধ। আমি আপনাদের নিকট বক্ততা দিতেছি, আর আপনারা আমার কথা শুনিতেছেন, এই উভয়ই কঠোর কার্য্যকারণ নিয়মের অধীন। মায়া হইতে যত দিন না বাহিরে যাইতেছেন, ততদিন স্বাধীনতা বা মুক্তি নাই । ঐ মায়াতীত অবস্থাই আত্মার যথার্থ স্বাধীনতা। কিন্তু মানুষ যতদূর তীক্ষবুদ্ধি হউক না কেন, এখনকার কোন বস্তুই স্বাধীন বা মুক্ত হইতে পারে না—এই যুক্তির বল যতদূর স্পষ্টরূপে দেখুক না কেন, সকলকেই বাধ্য হইয়া আপনাদিগকে স্বাধীন বলিয়া চিন্তা করিতে হয়, তাহা না করিয়া থাকিতেই পারে না । যতক্ষণ না আমরা বলি যে আমরা স্বাধীন, ততক্ষণ কোন কাৰ্যই চলিতে পারে না। ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে, আমরা যে স্বাধীনতার কথা বলিয়া থাকি, তাহা অজ্ঞানরূপ মেঘরাশির মধ্য দিয়া নিৰ্ম্মল নীলাকাশরাপ সেই শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত আত্মার চকিতদর্শনমাত্র, আর নীলাকাশরুপ প্রকৃত স্বাধীনতা অর্থাৎ মুক্তস্বভাব আত্মা উহার বাহিরে রহিয়াছেন । যথার্থ স্বাধীনতা এই ভ্রমের মধ্যে, এই মিথ্যার মধ্যে, এই বাজে দুনিয়ার মধ্যে, ইন্দ্রিয়-মন-দেহ-সমন্বিত এই ব্ৰহ্মাণ্ডের মধ্যে থাকিতে পারে না । এই সমুদয় অনাদি অনন্ত স্বপ্ন—যাহা আমাদের বশে নাই, যাহাদিগকে বশে আনাও যায় না, যাহারা অযথা-সন্নিবেশিত, ভগ্ন ও অসামঞ্জস্তময়—সেই সমুদয় ; স্বপ্নগুলিকে লইয়। আমাদের এই জগৎ । আপনি যখন স্বপ্নে দেখেন যে, বিশ-মুণ্ড একটা দৈত্য আপনাকে ধরিবার জন্ত আলি