পঞ্চম অধ্যায়। >>>
- ్కూ^^^********^^^***^^^^=*ళాళాఖ^^^wతాu~...
হইবে, এই যে স্বপ্ন—ইহা হইতে কিরূপে আমরা জাগিব ? আমরাই জগতের সেই অনন্ত পুরুষ আর আমরা জড়ভাবাপন্ন হইয়া এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নরনারীরূপ ধারণ করিয়াছি—এক জনের মিষ্ট কথায় গলিয়া যাইতেছি আবার আর এক জনের কড়া কথায় গরম হইয়া পড়িতেছি—ভালমন্দ সুখদুঃখ আমাদিগকে নাচাইতেছে ! কি ভয়ানক নির্ভরতা, কি ভয়ানক দাসত্ব ! আমি— যে সকল সুখদুঃখের অতীত, সমগ্ৰ জগতই যাহার প্রতিবিম্বস্বরূপ —সূৰ্য্য চন্দ্র তারা যাহার মহাপ্রাণের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উৎসমাত্র, আমি এইরূপ ভয়ানক দাসভাবাপন্ন হইয়া রহিয়াছি । আপনি আমার গায়ে একটা চিমটি কাটিলে আমার লাগিয়া থাকে । কেহ যদি একটী মিষ্ট কথা বলে, অমনি আমার আনন্দ হইতে থাকে। আমার কি দুর্দশ দেখুন—দেহের দাস, মনের দাস, জগতের দাস, একটা *: কথার দাস, একটা মন্দ কথার দাস, বাসনার দাস, সুখের দাস, জীবনের দাস, মৃত্যুর দাস—সব জিনিষের দাস । এই দাসত্ব ঘুচাইতে হইবে কিরূপে ? এই আত্মার সম্বন্ধে প্রথমে শুনিতে হইবে, তৎপরে উহা লইয়। মনন অর্থাৎ বিচার করিতে হইবে, তৎপরে উহার নিদিধ্যাসন অর্থাৎ ধ্যান করিতে হইবে ॥* , অদ্বৈতজ্ঞানীর ইহাই সাধন-প্রণালী। সত্যের সম্বন্ধে প্রথমে শুনিতে হইবে, পরে উহার বিষয় চিন্তা করিতে হইবে, তৎপরে ক্রমাগত সেইটা মনে মনে দৃঢ়ভাবে বলতে হইবে। সৰ্ব্বদাই
- বৃহদারণ্যক উপনিষয়মে জৰ্য্যায়, ডঃ শ্লোক দেখুন