পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> )\ు ধৰ্ম্মবিজ্ঞান । আর যাহা অবশিষ্ট থাকে, তাহা আত্মা । ইহাই সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক বিশ্লেষণাত্মক (বিলোম ) সাধন। জ্ঞানী কেবলমাত্র বিশ্লেষণ-বলে জগৎটাকে আত্মা হইতে বিচ্ছিন্ন করিতে চাহেন। ‘আমি জ্ঞানী' এ কথা বলা খুব সহজ, কিন্তু যথার্থ জ্ঞানী হওয়া বড়ই কঠিন । বেদ বলিতেছেন,— পথ অতি দীর্ঘ, এ যেন শাণিত ক্ষুরধারার উপর দিয়া ভ্রমণ ; কিন্তু নিরাশ হইও না । উঠ, জাগো, যতদিন না সেই চরম লক্ষ্যে পহুছিতেছ, ততদিন ক্ষান্ত হইও না। : অতএব জ্ঞানীর ধ্যান কি প্রকার হইল ? শুদ্ধানী দেহ মন বিষয়ক সর্ববপ্রকার চিন্তাকে অতিক্রম করিতে চাহেন । তিনি যে দেহ, এই ধারণাকে দূর করিয়া দিতে চাহেন। দৃষ্টান্তস্বরূপ দেখুন, যখনই আমি বলি, আমি অমুক স্বামী, তৎক্ষণাৎ দেহের ভাব আসিয়া থাকে। তবে কি করিতে হইবে ? মনের উপর বলপূর্বক আঘাত করিয়া বলিতে হইবে, ‘আমি দেহ নই, আমি আত্মা’ । রোগই আসুক, অথবা অতি ভয়াবহ আকারে মৃত্যু আসিয়াই উপস্থিত হউক, কে গ্রাহ করে ? আমি দেহ নহি । দেহ সুন্দর রাখিবার চেষ্টা কেন ? এই মায়া, এই ভ্রান্তি আবার সস্তোগের জন্য ? এই দাসত্ব বজায় রাখিবার জন্য ? দেহ যাউক, আমি দেহ নহি । ইহাই জ্ঞানীর সাধনপ্রণালী। ভকু বলেন, ®নউক্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান নিবোধত । ক্ষুরস্তু ধারা নিশিতা দুরত্যয়া । দুর্গং পথস্তত কবয়ে বদস্তি।" -कठे উপনিষদ | 8כוסו מ