পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* f * * * .* ダ % * af .م۔ سم শিষ্ট থাকিবে ? হা হইলে সংসার শ্বাপদসমাকীর্ণ অরণ্য হইয়া যাইবে । ইন্দ্রিয়সুখ মানবজীবনের লক্ষ্য নহে, জ্ঞানই সমুদয় প্রাণীর লক্ষ্য। আমরা দেখিতে পাই, পশুগণ ইন্দ্রিয়সুখে যতদূর প্রীতি অনুভব কলে, মানব বুদ্ধিশক্তির পরিচালনা করিয়া তদপেক্ষা অধিক সুখ অনুভব করিয়া থাকে ; আর ইহাও আমরা দেখিতে পাই, বুদ্ধি ও বিচারশক্তির পরিচালনা হইতেও মানব আধ্যাত্মিক স্বখে অধিকতর সুখবোধ করিয়া থাকে। অতএব অধ্যাত্মজ্ঞানকে নিশ্চিতই সর্ববশ্রেষ্ঠ জ্ঞান বলিতে হইবে । এই জ্ঞানলাভ হইলেই সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ আসিবে । এই জগতের এই সকল বস্তু সেই প্রকৃত জ্ঞান ও আনন্দের ছায়ামাত্র—উহার তিন চার ধাপ নিম্বের প্রকাশ মাত্র। আর একট প্রশ্ন আছে —আমাদের চরম লক্ষ্য কি ? আজকাল ইহা কথিত হইয়া থাকে যে, মানব অনন্ত উন্নতিপথে চলিয়াছে—সে ক্রমাগত সম্মুখে অগ্রসর হইতেছে, কিন্তু তাহার লাভ করিবার কোন চরম লক্ষ্য নাই। এই “ক্রমাগত সমীপবৰ্ত্তী হওয়া অথচ কখনই লাভ না করা” ইহার অর্থ যাহাই হউক, আর এ তত্ত্ব যতই অদ্ভূত হউক, ইহা যে অসম্ভব, তাহা অতি সহজেই বোধগম্য হইতে পারে। সরল রেখায় কি কখন কোন প্রকার গতি হইতে ' পারে ? একটী সরল রেখাকে অনন্ত প্রসারিত করিলে উহা একটা বৃত্তরাপে পরিণত হয় ; উহা যেখান হইতে আরস্ত হইয়াছিল, তথায়ই আবার ফিরিয়া যায় । যেখান হইতে আরস্তু করিয়াছি, তথায়ই অবশুই শেষ করিতে হইবে ; আর যখন ঈশ্বর ইতে