বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সূচনা । సా আর অগ্রসর হইতে পরিবেন না ; তখন রসায়ন বিদ্যা সম্পূর্ণ হইবে । ধৰ্ম্মবিজ্ঞান-সম্বন্ধেও ঐ কথ। যদি আমরা পূর্ণ একত্বকে আবিষ্কার করিতে পারি, তবে তাহার উপর আর উন্নতি হইতে পারে না । তার পরের প্রশ্ন এই, এইরূপ একত্ব লাভ কি সস্তব ? ভারতে অতি প্রাচীন কাল হইতেই ধৰ্ম্ম ও দর্শনের বিজ্ঞান আবিষ্কারের চেষ্ট হইয়াছে ; কারণ, পাশ্চাত্যদেশে যেমন এইগুলিকে পৃথক ভাবে দৃষ্টি করাই প্রচলিত, হিন্দুরা তদ্রুপ ইহাদের মধ্যে প্রভেদ দেখেন না । আমরা ধৰ্ম্ম ও দর্শনকে এক বস্তুরই দুইটী বিভিন্নভাব বলিয়া বিবেচনা করি, আর আমাদের ধারণা—উভয়টাই তুল্য ভাবে যুক্তি ও বৈজ্ঞানিক সত্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়া চাই। পরবৰ্ত্তী বক্তৃতাসমূহে আমি প্রথমে ভারতের—শুধু ভারতের কেন, সমগ্র জগতের—সর্বপ্রাচীন দর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম সাংখ্যদর্শন বুঝাইবার চেষ্টা করিব । ইহার শ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাত কপিল সমুদয় হিন্দুমনোবিজ্ঞানের জনক, আর তিনি যে প্রাচীন দর্শনপ্রণালীর উপদেশ দিয়া গিয়াছেন, তাহা এখনও আজকালকার ভারতীয় সমুদয় প্রচলিত দর্শনপ্রণালীসমূহের ভিত্তিস্বরূপ । এই সকল , দর্শনের অন্যান্য বিষয়ে যত মতভেদ থাকুক না কেন, সকলেই সাংখ্যের মনোবিজ্ঞান গ্রহণ করিয়াছেন । তার পর আমি দেখাইতে চেষ্টা করিব, সাংখ্যের স্বাভাবিক পরিণতিস্বরূপ বেদান্ত কেমন উহারই সিদ্ধান্তগুলিকে লইয়া আরো অধিকদূর অগ্রসর হইয়াছেন। কপিল কর্তৃক উপদিষ্ট স্থই বা