পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায় । `ව

= నా...స్కౌ***

যেমন যেমন এক একটী নূতন নূতন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হইতেছে, তেমনি যেন তাহদের গৃহে একটি করিয়া বোমা পড়িতেছে, আর সেই জন্যই তাহারা সকল যুগেই এই সমস্ত বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান বন্ধ করিয়া দিবার চেষ্টা করিয়াছেন। প্রথমতঃ, আমরা ব্রহ্মাণ্ডতত্ত্ব ও তদানুষঙ্গিক বিষয় সম্বন্ধে প্রাচ্যজাতির মনস্তত্ত্ব ও বিজ্ঞানদৃষ্টিতে কি ধারণা ছিল, তাহ আলোচনা করিব ; তাহ হইলে আপনারা দেখিবেন যে, কিরূপ আশ্চৰ্য্যভাবে আধুনিক বিজ্ঞানের সমুদয় আধুনিকতম আবিক্রিয়ার সহিত উহাদের সামঞ্জস্য রহিয়াছে, আর যদি কোথাও কিছু অসম্পূর্ণ থাকে, তাহা আধুনিক বিজ্ঞানের দিকে । ইংরাজীতে আমরা সকলে Nature শব্দ ব্যবহার করিয়া থাকি। প্রাচীন হিন্দুদার্শনিকগণ উহাকে দুইটী বিভিন্ন নামে অভিহিত করিতেন; ১ম, ‘প্রকৃতি —ইংরাজী Nature শব্দের সহিত ইহা প্রায় সমানার্থক, আর ২য়ট অপেক্ষাকৃত বৈজ্ঞানিক নাম—‘অব্যক্ত’—যাহা ব্যক্ত বা প্রকাশিত বা ভেদাত্মক নহে— উহা হইতেই সকল পদার্থ উৎপন্ন হইয়াছে, উহা হইতেই অণু পরমাণু সমুদয় আসিয়াছে, উহা হইতেই ভূত, শক্তি, মন,বুদ্ধি সমুদয় আসিয়াছে। ইহা অতি বিস্ময়কর যে, ভারতীয় দার্শনিকগণ অনেক যুগ পূর্বেই বলিয়া গিয়াছেন যে,মন সূক্ষ জড়মাত্র। কারণ, আমাদের আধুনিক জড়বাদীরা—দেহ যেমন প্রকৃতি হইতে প্রসূত, মনও তক্রপ—ইহা ব্যতীত আর অধিক কি দেখাইবার চেষ্টা করিতেছেন ? চিন্তা সম্বন্ধেও তাহাই ; আর ক্রমশঃ আমরা দেখুিব, বুদ্ধিও সেই একই অব্যক্ত নামখেয় প্রকৃতি হইতে প্রসূত হইয়াছে। • یی په حمصع*۶يب-مي