পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায় । ›ጫ SALAMAMAMAMMMAMAMMAMMAMMMMAMeeASASASeAMAeMM eAeeAMMAMAMAMAMAMMAMAMMAMMAMMeeeMMM SS ইনি ( সেই অনাদি অনন্ত পুরুষ ) গতিশূন্য বা নিশ্চেষ্ট ভাবে ছিলেন । প্রাণ ও আকাশ তখন সেই অনন্ত পুরুষে সুপ্তভাবে ছিল, কিন্তু কোনরূপ ব্যক্ত প্রপঞ্চ ছিল না । এই অবস্থাকে অব্যক্ত বলে—উহার ঠিক শব্দার্থ স্পন্দনরহিত বা অপ্রকাশিত। ক্রমবিকাশের জন্য একটা নূতন কল্পের আদিতে এই অব্যক্ত স্পন্দিত হইতে থাকে, আর প্রাণ আকাশের উপর ক্রমাগত ঘাতের পর ঘাত দিতে দিতে ক্রমশঃ উহা স্থূল হইতে থাকে, আর ক্রমে আকর্ষণবিকর্ষণ-শক্তিদ্বয়ের বলে পরমাণু গঠিত হয়। এইগুলি পুরে আরও স্থূলতর হইয়। দ্বাণুকাদিতে পরিণত হয় এবং সর্বশেষে প্রাকৃতিক প্রত্যেক পদার্থ যদ্বারা নিৰ্ম্মিত, সেই সকল বিভিন্তু স্কুল ভূতে পরিণত হয়। আমরা সাধারণতঃ দেখিতে পাই, লোকে এই গুলির অতি অদ্ভুত ইংরাজী অনুবাদ করিয়া থাকে। অনুবাদকগণ অনুবাদের জন্য প্রাচীন দার্শনিকগণের ও র্তাহাদের টীকাকারগণের সহায়তা গ্রহণ করেন না আর নিজেদেরও এতদূর বিদ্যা নাই যে, আপনাপনি ঐ গুলি বুঝিতে পারেন । তাহারা ভূতগুলিকে বায়ু, অগ্নি ইত্যাদি রূপে অমুবাদ করিয়া থাকেন। যদি তাহারা ভাষ্যকারগণের ভান্য আলোচনা করিতেন, তবে তাহারা দেখিতে পাইতেন যে, তাহারা ঐ গুলিকে লক্ষ্য করেন নাই। প্রাণের বারম্বার আঘাতে আকাশ হইতে বায়ু বা আকাশের স্পন্দনশীল অবস্থা উপস্থিত হয় ও উহা হইতেই পরে বাষ্পীয় ভূতের উৎপত্তি হয় ।