পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2>br ধৰ্ম্মবিজ্ঞান । =خمیخـــد স্পন্দন ক্রমশঃ দ্রুত হইতে দ্রুততর হইতে থাকিলে উত্তাপ বা তেজের উৎপত্তি হয়। ক্রমশঃ উত্তাপ কমিয়৷ শীতল হইতে থাকে, তখন ঐ বাষ্পীয় পদার্থ তরল ভাব ধারণ করে, উহাকে অপ বলে ; অবশেষে উহা কঠিনাকার প্রাপ্ত হয়, তাহার নাম পৃথিবী। সর্বপ্রথমে আকাশের স্পন্দনশীল অবস্থা, তার পর উত্তাপ, তার পর উহা তরল হইয়া যাইবে, আর যখন আরো অধিক ঘনীভূত হইবে, তখন উহ। কঠিন জড়পদার্থের আকার ধারণ করিবে । ঠিক ইহার বিপরীতক্রমে সমুদয় অব্যক্তাবস্থা প্রাপ্ত হয়। কঠিন বস্তু সকল তরলাকুরে পরিণত হইবে, তরলাবস্থা গিয়া কেবল উত্তাপরাশিরূপে পরিণত হইবে, তাহ আবার ধীরে ধীরে বাষ্পীয় ভাব ধারণ করিবে, পরে পরমাণুসমূহ বিশ্লিষ্ট হইতে আরম্ভ হয়, ও সর্বশেষে সমুদয় শক্তির সামঞ্জস্য অবস্থা উপস্থিত হয় । তখন স্পন্দন বন্ধ হয়— এইরূপে কল্পান্ত হয় । আমরা আধুনিক জ্যোতিষ হইতে জানিতে পারি যে, আমাদের এই পৃথিবী ও সূর্য্যের সেই অবস্থা পরিবর্তন চলিয়াছে, শেষে এই কঠিনাকার পৃথিবী গলিয়া গিয়া তরলীকার এবং অবশেষে বাষ্পাকার ধারণ করিবে । প্রাণ স্বয়ং আকাশের সাহায্য ব্যতীত কোন কাৰ্য্য করিতে পারে না । উহার সম্বন্ধে আমরা কেবল এইটুকু জানি যে, উহা গতি বা স্পন্দন। আমরা যাহা কিছু গতি দেখিতে পাই, তাহা এই প্রাণের বিকারস্বরূপ আর জড় বা ভূত পদার্থ যাহা কিছু আমর, জানি, যাহা কিছু আকৃতিমান বা বাধাত্মক, তাহাই এই আকাশের বিকার। এই প্রাণ স্বয়ং থাকিতে পারে না বা কোন भशबखी,