পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায় । >ఏ ব্যতীত কাৰ্য্য করিতে পারে না, আর উহার কোন অবস্থায়—উহ কেবল প্রাণরূপেই বৰ্ত্তমান থাকুক অথবা মাধ্যাকর্ষণ বা কেন্দ্রাতিগাশক্তিরূপ প্রাকৃতিক অন্যান্য শক্তিতেই পরিণত হউক,— উহা কখন আকাশ হইতে পৃথক থাকিতে পারে না। আপনারা কখন ভূত ব্যতীত শক্তি বা শক্তি ব্যতীত ভূত দেখেন নাই। আমরা যাহাদিগকে ভূত ও শক্তি বলি, তাহারা কেবল এই দুইটার স্থল প্রকাশ মাত্র,আর ইহাদের অতি সূক্ষমাবস্থাকেই প্রাচীন দার্শনিকগণ প্রাণ ও আকাশ নামে অভিহিত করিয়াছেন । প্রাণকে আপনারা জীবনীশক্তি বলিতে পারেন, কিন্তু উহাকে শুধু মানবের জীবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করিলে অথবা আত্মার সহিত অভিন্ন ভাবিয়া বুঝিলেও চলিবে না। অতএব স্বঃি—প্রাণ ও আকাশের সংযোগোৎপন্ন, আর উহার আদিও নাই, অন্তও নাই ; উহার আদি অন্ত কিছুই থাকিতে পারে না, কারণ, অনন্ত কাল ধরিয়া উহা চলিয়াছে । t তার পর আর একটী অতি দুরূহ ও জটিল প্রশ্ন আসিতেছে। কতকগুলি ইউরোপীয় দার্শনিক বলিয়াছেন, “আমি আছি বলিয়াই এই জগৎ আছে, আর ‘আমি যদি না থাকি, তবে এই জগৎও থাকিবে না। কখন কখন ঐ কথাই এই ভাবে প্রকাশ করা হইয়া থাকে, যথা, যদি জগতের সকল লোক মরিয়া যায়, মনুষ্কজাতি আর যদি না থাকে, অনুভূতি ও বুদ্ধিশক্তিসম্পন্ন কোন প্রাণী যদি না থাকে, তবে এই জগৎপ্ৰপঞ্চও আর খাৰুিৰে না। এ কথা অসম্ভব বলিয়া বোধ হইতে পারে, কিন্তু ক্রমে আমরা: