বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ ধৰ্ম্মবিজ্ঞান | ^్న ^^ মাত্র, তাহাই যথার্থ ইন্দ্রিয়। এইরূপ এই নাসিকাও একটা যন্ত্র মাত্র, উহার সহিত সম্বন্ধযুক্ত একটা ইন্দ্রিয় আছে। আধুনিক শারীরবিধানশাস্ত্র আপনাদিগকে বলিয়া দিবেন, উহা কি। উহ মস্তিষ্কস্থ একটা স্বায়ুকেন্দ্রমাত্র। চক্ষুকৰ্ণাদি কেবল বাহবন্ত্রমাত্র । অতএব এই স্বায়ুকেন্দ্র বা ইন্দ্রিয়গণই অনুভূতির যথার্থ স্থান। নাসিকার জন্য একট, চক্ষের জন্য একট, এইরূপ প্রত্যেকের জন্য এক একটা পৃথক স্বায়ুকেন্দ্র বা ইন্দ্রিয় থাকিবার প্রয়োজন কি ? একটতেই কাৰ্য্য সিদ্ধ হয় না কেন ? এইটা স্পষ্ট করিয়া বুৱান যাইতেছে। আমি কথা কহিতেছি, আপনার আমার কথা শুনিতেছেন ; আপনারা আপনাদের চতুর্দিকে কি হইতেছে তাহ দেখিতে পাইতেছেন না, কারণ, মন কেবল শ্রবণেন্দ্ৰিয়েই সংযুক্ত হইয়াছে, চক্ষুরিন্দ্রিয় হইতে আপনাকে পৃথক করিয়াছে। যদি একটা মাত্র স্বায়ুকেন্দ্র বা ইন্দ্রিয় থাকি ত, তবে মনকে এক সময়েই দেখিতে, শুনিতে ও আঘ্ৰাণ করিতে হইত। আর উহার পক্ষে এক সময়েই এই তিনটী কাৰ্য্য না করা অসম্ভব হইত। অতএব প্রত্যেকটর জন্য পৃথক পৃথক স্বায়ুকেন্দ্রের প্রয়োজন । আধুনিক শারীরবিধানশাস্ত্রও এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়া থাকেন। অবশ্য আমাদের পক্ষে এক সময়েই দেখা ও শুনা সম্ভব, কিন্তু তাহার কারণ— মন উভয় কেন্দ্রেই আংশিক ভাবে সংযুক্ত হয়। তবে যন্ত্র কোনগুলি হইল ? আমরা দেখিতেছি, উহারা বাহিরের বস্তু এবং স্থলভূতে নিৰ্ম্মিত—এই আমাদের চক্ষু কৰ্ণ নাসা প্রভৃতি। আর. এই স্নায়ুকেন্দ্রগুলি কিসে নিৰ্ম্মিত ? উহারা সূক্ষমতর ভূতে নিৰ্ম্মিত