পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ধম্মবিজ্ঞান । ^AA^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^ তাহার পশ্চাতে মহৎ বা বুদ্ধিতত্ত্ব—উহা প্রাকৃতিক সকল বস্তুর মধ্যে শ্রেষ্ঠ । ইহার পশ্চাতে পুরুষ—ইনিই মানবের যথার্থ স্বরূপ, শুদ্ধ, পূর্ণ, ইনিই একমাত্র দ্রষ্ট এবং ইহার জন্যই এই সমুদয় পরিণাম । পুরুষ এই সকল পরিণামপরম্পরা দেখিতেছেন । তিনি স্বয়ং কখনই অশুদ্ধ নহেন, কিন্তু অধ্যাস বা প্রতিবিম্বের দ্বারা তাহাকে তদ্রুপ দেখাইতেছে, যেমন একখণ্ড স্ফটিকের সমক্ষে একট লাল ফুল রাখিলে স্ফটিকটি লাল দেখাইবে, আবার নীল ফুল রাখিলে উহা নীল দেখাইবে । প্রকৃত পক্ষে কিন্তু স্ফটিকটর কোন বর্ণ নাই। পুরুষ বা আত্মা অনেক, প্রত্যেকেই শুদ্ধ ও পূর্ণ আর এই স্কুল, সূক্ষম নানা প্রকারে বিভক্ত ভূত তাহাদের উপর প্রতিবিম্বিত হইয়া তাহাদিগকে নানাবণের দেখাইতেছে। প্রকৃতি কেন এ সকল করিতেছেন ? প্রকৃতির এই সকল পরিণাম পুরুষ বা আত্মার ভোগ ও অপবর্গের জন্য— যাহাতে পুরুষ আপনার মুক্ত স্বভাব জানিতে পারেন। মানবের সমক্ষে এই জগৎপ্ৰপঞ্চরূপ সুবৃহৎ গ্রন্থ বিস্তৃত রহিয়াছে, যাহাতে মানব ঐ গ্রন্থ পাঠ করিয়া পরিণামে সর্ববজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান পুরুষরূপে জগতের বাহিরে আসিতে পারেন । আমাকে এখানে অবশ্যই বলিতে হইবে যে, আমাদের অনেক ভাল ভাল মনস্তত্ত্ববিদেরা আপনারা যে ভাবে সগুণ বা ব্যক্তিভাবাপন্ন ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন, তদ্রুপ ভাবে তাহাতে বিশ্বাস করেন না। সকল মনস্তত্ববিদগণের পিতাস্বরূপ কপিল স্থষ্টিকৰ্ত্ত। ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার করেন। তাহার ধারণা এই যে,--