পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f ミや ধৰ্ম্মবিজ্ঞান । SAASAASAASAASAAMSMSMeeAMeeMSAMSee ESAMJAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS না। এই হেতু কপিল বলেন, আমাদের শাস্ত্ৰে—বেদে– যেখানেই ঈশ্বর শব্দের প্রয়োগ আছে, তাহাতে, যে সকল আত্মা পূর্ণতা ও মুক্তি প্রাপ্ত হইয়াছেন, তাহাদিগকে বুঝাইতেছে। সাংখ্য দর্শন, সকল আত্মার একত্বে বিশ্বাসী নহেন । বেদান্তের মতে সমুদয় জীবাত্মা ব্ৰহ্মনামধেয় এক বিশ্বাত্মায় অভিন্ন, কিন্তু সাংখ্যদর্শনের প্রতিষ্ঠাত কপিল দ্বৈতবাদী ছিলেন। তিনি অবশ্য জগতের বিশ্লেষণ যতদূর করিয়াছেন, তাহা অতি অদ্ভূত। তিনি হিন্দু পরিণামবাদিগণের জনকস্বরূপ, আর পরবর্তী দার্শনিক শাস্ত্রগুলি তাহারই চিন্তাপ্রণালীর পরিণামমাত্র। "

  • সাংখ্যদর্শনমতে সকল আত্মাই তাহদের স্বাধীনতা বা মুক্তি এবং সৰ্ব্বশক্তিমত্তা ও সর্বজ্ঞতারূপ স্বাভাবিক অধিকার পুনঃপ্রাপ্ত হইবে ।" এখানে প্রশ্ন হইতে পারে, আত্মার এই বন্ধন কোথা হইতে আসিল ? সাংখ্য বলেন, ইহা অনাদি । কিন্তু তাহাতে এই আপত্তি উপস্থিত কয় যে, যদি এই বন্ধন অনাদি হয়, তবে উহ অনন্তও হইবে, আর তাহা হইলে আমরা কখনই মুক্তিলাভ করিতে পারিব না। কপিল ইহার উত্তরে বলেন, এখানে এই ‘অনাদি রলিতে নিত্য অনাদি বুঝিতে হইবে না। প্রকৃতি অনাদি ওঁ অনন্ত, কিন্তু আত্মা বা পুরুষ যে অর্থে অনাদি অনন্ত, লে অর্থে নহে ; কারণ, প্রকৃতিতে ব্যক্তিত্ব নাই। যেমন আমাদের সম্মুখ দিয়া একটী নদী প্রবাহিত হইয়া যাইতেছে, প্রতি মুহূৰ্ত্তেই উহাতে নুতুন নূতন জলরাশি আসিতেছে আর এই সমুদয় জলরাশির নাম নদী—কিন্তু নদী কোন এক বস্ত হইল না। এইরূপ