প্রথম অধ্যায় । ২৭ প্রকৃতির অন্তর্গত যাহা কিছু, তাহার সর্বদা পরিবর্তন হইতেছে, কিন্তু আত্মার কখনই পরিবর্তন হয় না । অতএব প্রকৃতি যখন সদাই পরিণাম প্রাপ্ত হইতেছে, তখন আত্মার পক্ষে প্রকৃতির বন্ধন হইতে মুক্ত হওয়া সম্ভব। সাংখ্যদিগের একটা স্বত অনন্তসাধারণ । তাহদের মতে একটা মনুষ্য বা যে কোন একটা প্রাণী যে নিয়মে গঠিত, সমগ্র জগদ্ধ ক্ষাগু ও ঠিক সেই নিয়মে বিরচিত। স্বতরাং আমাদের যেমন একটা মন আছে, তদ্রুপ একটী বিশ্ব-মনও আছে। যখন এই বৃহদ্ধ ক্ষাণ্ডের ক্রমবিকাশ হয়, তখন প্রথমে মহৎ বা বুদ্ধিতত্ত্ব, পরে অহঙ্কার, পরে তস্মাত্রা, ইন্দ্রিয় ও শেষে স্থূল ভূতের উৎপত্তি হয় । কপিলের মতে সমগ্র ব্ৰহ্মাণ্ডই এক শরীরস্বরূপ । যাহা কিছু দেখিতেছি, সেগুলি সমুদয় স্থল শরীর, উহাদের পশ্চাতে সূক্ষ শরীরসমূহ এবং তাহাদের পশ্চাতে সমষ্টি অহংতত্ত্ব, তাহারও পশ্চাতে সমষ্টি বুদ্ধি। কিন্তু এই সকলই প্রকৃতির অন্তর্গত, সকলই প্রকৃতির বিকাশ, এগুলির কিছুই উহার বাহিরে নাই। আমাদের মধ্যে সকলেই সেই বিশ্বচৈতন্তের অংশস্বরূপ। সমষ্টি বুদ্ধিতত্ত্ব রহিয়াছে, তাহা হইতে বাহঃ আমাদের প্রয়োজন, গ্রহণ করিতেছি ; এইরূপ জগতের ভিতরে. প্রয়োজনমত লইতেছি। কিন্তু দেহের বীজ পিতামাতার নিকট হইতে প্রাপ্ত হওয়া চাই। ইহাতে বংশানুক্রমিকভ (Heredity) ७ शूनण्éशबान उडग्न उरुहे चौझ्ड इंदेह करक জাজ্জাকে"দেহ নিৰ্ম্মাণ করিবার জঙ্ক উপাদান দিতে হয়, কিন্তু
পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৩৫
অবয়ব